কলকাতা: শ্রীলঙ্কায় চলছে এশিয়া কাপ। এরই মাঝে অপেক্ষা চলছে বিশ্বকাপের। ২০১১ সালের পর ফের ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ। সে বারের মতো ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের প্রত্যাশা, ট্রফি উঠুক টিম ইন্ডিয়ার হাতে। বিশ্বকাপে কলকাতারও বড় ভূমিকা থাকছে। সেমিফাইনাল সহ মোট পাঁচটি ম্যাচ ইডেনে। ১৯৯৬ সালের পর ফের ইডেনে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে। আরও বেশ কিছু হাইভোল্টেজ ম্যাচ থাকছে। স্বাভাবিক ভাবেই বিশ্বকাপের সময় শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এই নিয়েই একটি বিশেষ নিরাপত্তা বৈঠক হল কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজারে। বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ছাড়াও বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং নেদারল্যান্ডসের ম্যাচ রয়েছে কলকাতায়। ভারতের একটি ম্যাচই রয়েছে ইডেনে। শুধু অংশগ্রহণকারী দেশই নয়, বিশ্বকাপের ম্যাচ দেখতে আসবেন বিভিন্ন দেশের ক্রিকেট প্রেমীরা। বিশ্বকাপ শুরুর আগে ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের দূতাবাসের কর্তারা নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে নিশ্চিত হতে চান। বৃহস্পতিবার লালবাজারে সার্বিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত বৈঠক হয়। উপস্থিত ছিলেন ৯টি দেশের দূতাবাসের প্রতিনিধিরা।
এ দিন বিকেলে কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজারে এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (সদর) পাণ্ডে সন্তোষ সহ অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ইতালি, রাশিয়া, নেপাল, জাপান ও বাংলাদেশের কলকাতা দূতাবাসের শীর্ষ কর্তারা। শুধু প্লেয়ার কিংবা অফিসিয়াল নয়। অন্যান্য দেশের নাগরিকরাও শহরে আসবেন ক্রিকেট বিশ্বকাপ দেখার জন্য। তাঁদের নিরাপত্তাও সুনিশ্চিত হোক, এমনটাই চান দূতাবাসের কর্তারা। পাশাপাশি খেলার আগে ও খেলা চলাকালীন কলকাতা পুলিশের কী কী বিধিনিষেধ থাকবে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে কী ভাবে অনুমতি দেবে, যাবতীয় বিষয় নিয়ে এদিনের বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এ দিনের বৈঠক থেকে লালবাজারের তরফে দূতাবাসের প্রতিনিধিদের কাছে সার্বিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার বিষয়ে আশ্বস্ত করা হয়।
চলতি মাসের শুরুতে ৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (সদর) পাণ্ডে সন্তোষ আসন্ন আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ নিয়ে লালবাজারে বৈঠক করেছিলেন ব্রিটিশ ডেপুটি হাই কমিশনার ও অস্ট্রেলিয়ার কনসোলেট জেনারেলের সঙ্গে।