ভারত – ২০২ (৬৩.১ ওভার) (প্রথম ইনিংস) ২৬৬ (৬০.১ ওভার) (দ্বিতীয় ইনিংস)
দক্ষিণ আফ্রিকা – ২২৯ (৭৯.৪ ওভার) (প্রথম ইনিংস) ২৪৩-৩ (৬৭.৪ ওভার) (দ্বিতীয় ইনিংস)
৭ উইকেটে জয়ী দক্ষিণ আফ্রিকা
জোহানেসবার্গ: ডিন এলগারের (Dean Elgar) দুরন্ত ব্যাটে ভর করে দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) সিরিজে প্রত্যাবর্তন। একাই একদিকে দাঁড়িয়ে দলকে ওয়ান্ডারার্সে জেতালেন। যে পিচে ব্যাট করা যথেষ্ট কঠিন ছিল, সেই পিচেই ৯৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে গেলেন এলগার। এই পিচে প্রথম ইনিংসে ভারত (India) যেমন আহামরি রান তুলতে পারেনি, দক্ষিণ আফ্রিকাও প্রথম ইনিংসে টিম ইন্ডিয়ার থেকে খুব বেশি রান তুলতে পারেনি। জো’বার্গের কঠিন পিচে কখনও মাথায়, কখনও গলায় আবার কখনও বা চোয়ালে এলগার একের পর এক বাউন্সার পেয়েও ক্রিজ কামড়ে পড়ে রইলেন। এবং তার ফলও পেলেন। ভারতীয় বোলারদের যত আগ্রাসন সব শেষ হয়ে গেল এই এলগারের সামনে।
প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেট নিয়ে ভারতকে ম্যাচে ফিরিয়েছিলেন শার্দূল ঠাকুর। টিম ইন্ডিয়াকে মাথায় রাখতে হবে, শার্দূল তো সব ইনিংসেই ৭ উইকেট নেবেন না। বুমরা-সামির মতো প্রথম সারির বোলাররা জো’বার্গের মতো বাউন্সি পিচে সুবিধা তুলতে কেন পারলেন না? বিশেষ করে যে পরিস্থিতিতে বৃষ্টি হওয়ার পর সুইংয়ের ভালো ব্যবহার করা যাবে, সেখানে সাদামাদা দেখা গেল ভারতীয় বোলিং। এই পিচে ২৪০ রানের টার্গেটটা খুব একটা সহজ ছিল না। কিন্তু সেই কাজটা সহজ করে দিলেন ডিন এলগার। তাঁর চমৎকার ব্যাটিংয়ে ভর করে ৭ উইকেটে জো’বার্গে ম্যাচ জিতল প্রোটিয়ারা।
পরিণতবোধ না থাকা ক্যাপ্টেন কেএল রাহুল নেতৃত্ব দিলেন ভারতকে। তবে কি তার জন্য সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ভারতকে এ ভাবে হারতে হল? উঠছে এই প্রশ্নও। বিরাট কোহলির আচমকা চোটের কারণে জো’বার্গ টেস্ট থেকে সরে যাওয়া, কিছুটা হলেও ধাক্কা দিয়েছিল টিম ইন্ডিয়াকে। ফলে জো’বার্গে সিরিজ মুঠোয় ভরার ক্ষেত্রে বিরাটের আগ্রাসী ভাবটাও মাঠে পেল না ভারত। পয়া জো’বার্গ এ বার সঙ্গ দিল না ভারতের। ওয়ান্ডারার্সে সিরিজে প্রত্যাবর্তন করলেন ডিন এলগাররা। আবার বলা চলে, দক্ষিণ আফ্রিকার দূর্গে তাদের হারানোর একপ্রকার বদলা জোহানেসবার্গে নিল প্রোটিয়ারা। আর ভারতীয় দলের জন্য ২৯ বছরের টেস্ট সিরিজ জয়ের খরা কাটানোর জন্য, আরও বাড়ল অপেক্ষা। কেপ টাউন টেস্টের ওপর এখন নির্ভর করছে সিরিজের ফল।
South Africa win the second Test by 7 wickets.
The series is now leveled at 1-1. #TeamIndia will bounce back in the third Test. ? ? #SAvIND
Scorecard ▶️ https://t.co/b3aaGXmBg9 pic.twitter.com/s5z3Z01xTx
— BCCI (@BCCI) January 6, 2022
চতুর্থ দিন বৃষ্টির কারণে দুটো সেশনের খেলা পুরোপুরি ভেস্তে যায়। বৃষ্টি থামার পর মাঠ শুকনো হলে, শুরু হয় তৃতীয় সেশন। তৃতীয় দিন যেখানে শেষ করেছিলেন প্রোটিয়া অধিনায়ক, চতুর্থ দিন সেখান থেকেই শুরু করলেন তিনি। বাউন্সারকে তোয়াক্কা না করে ক্রিজ কামড়ে পড়েছিলেন এলগার। ফলও পেলেন তিনি। ম্যাচ জিতে সিরিজে সমতা ফেরাতে দক্ষিণ আফ্রিকার চতুর্থ দিন প্রয়োজন ছিল ১২২ রান। আর ভারতের প্রয়োজন ছিল ৭ উইকেট। প্রথম এক ঘণ্টা এলগার-দুসেন জুটিকে ভাঙতে পারেনি ভারত। অবশেষে সামি ফেরান এলগারকে। তারপর আর কোনও উইকেট না হারিয়ে এলগার-বাভুমা জুটিতে জয় এনে দিল প্রোটিয়াদের। বৃষ্টি হওয়ার পরও উইকেট থেকে খুব সাহায্য পেলেন না ভারতীয় বোলাররা।
বিরাটহীন ভারতকে হারিয়ে সিরিজ ১-১ করলেন রাবাডা-অলিভিয়েররা। বছরের প্রথম টেস্টে জেতা হল না টিম ইন্ডিয়ার। এখনও পর্যন্ত ওয়ান্ডারার্সে ৬টি টেস্ট খেলল দুই দল। যার মধ্যে ২টি ম্যাচে জিতেছে ভারত, ১টি ম্যাচে জয় দক্ষিণ আফ্রিকার এবং ৩টি ম্যাচ ড্র হয়েছিল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: ভারত (দ্বিতীয় ইনিংস) ২৬৬ (চেতেশ্বর পূজারা ৫২, অজিঙ্ক রাহানে ৫৮; মার্কো জেনসেন ৩-৬৭, লুনগি এনগিডি ৩-৪৩)
দক্ষিণ আফ্রিকা (দ্বিতীয় ইনিংস) ২৪৩-৩ (ডিন এলগার ৯৬*, এইডেন মার্করাম ৩১; রবিচন্দ্রন অশ্বিন ১-২৬, শার্দূল ঠাকুর ১-৪৭)