মেলবোর্ন: যখন তোমাকে নিয়ে শেষ কথা বলে দেওয়া হবে, তখনই ফিরে আসতে হবে তোমাকে! যদি পারো, দুনিয়া কুর্নিশ করবে তোমাকে। বহু ব্যবহারে ক্লিশে হয়ে যাওয়া ক্রিকেটের সেই প্রবাদটা যেন বেছে নিয়েছেন তিনি! ভারতের গত ইংল্য়ান্ড সফরে ধারাভাষ্যকার হিসেবে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। কে জানত ফিরে আসবেন আবার! চলতি বছরের শুরুতে যখন ভারতের কিপার-ব্যাটার খোঁজা চলছিল, ঈষাণ কিশান, সঞ্জু স্যামসনকেই বিকল্প হিসেবে ভাবা হচ্ছিল। কে জানত সব হিসেব উল্টে দেওয়ার মতো ক্রিকেট খেলবেন। কেরিয়ারের প্রান্তিক স্টেশনে দাঁড়িয়েও ফিনিশারের মুকুট পরানো হবে! ক্রিকেট এমনই। কে যে কখন দীনেশ কার্তিক (Dinesh Karthik) হয়ে উঠবেন, আগে থেকে বলা যায় না! টিমের অন্দরে ডিকের জায়গা কেমন, তুলে ধরল TV9Bangla।
ভারত-পাক (IND vs PAK) ম্যাচের জন্য যত দূর সাজানো হয়েছে অঙ্ক, প্রথম একাদশের কাঠামো, তাতে ঋষভ পন্থ নেই। বরং বর্ষীয়ান কার্তিকেই ভরসা রাখছে টিম ম্যানেজমেন্ট। কেন? হঠাৎ খেলা পাল্টে দেওয়ার এবিলিটি থাকার জন্য। হারতে হারতে টিমকে জিতিয়ে দেওয়ার জন্য। রবিবার ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের আগে সেই কার্তিকই দিলেন এক অভিনব বার্তা। কিছু দিন আগে আইসিসিকে দেওয়া এক অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ক্রিকেটার রিকি পন্টিং প্রশংসা করেছিলেন কার্তিকের। পন্টিংকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ভারতীয় কিপার। হারিয়ে যেতে যেতে ফিরে আসার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন মেন্টর অভিষেক নায়ারের প্রতি। ধন্যবাদ জানিয়েছেন ভারতীয় টিমের ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মাকেও।
ইন্সটাগ্রাম পোস্টে কী লিখেছেন কার্তিক? পন্টিংকে নিয়ে কার্তিক লিখেছেন, ‘যখন আমি বড় হচ্ছিলাম, তখন থেকে আমার সবচেয়ে পছন্দের ক্রিকেটার। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে খেলার সময় যেটুকু সময় কাটিয়েছি, সেটাও ভোলার নয়। দারুণ নেতা এবং খেলাটাকে অসম্ভব ভালো পড়তে পারে। সবচেয়ে ভয়ঙ্কর প্রতিপক্ষ। রিকি পন্টিংকে আমি অত্যন্ত ভালোবাসি। সেই রিকিই আমাকে নিয়ে যে মন্তব্য করেছে, তাতে আমি খুব খুশি হয়েছি। আশা করি ভবিষ্যতে আবার একসঙ্গে সময় কাটাব।’
একই সঙ্গে রোহিতকে নিয়ে কার্তিক লিখেছেন, ‘রোহিত বরাবর আমার উপর ভরসা রেখেছে। প্রতি দিন আমাকে সামনে এগিয়ে দিয়েছে, আস্থা রেখেছে। যে কোনও প্রয়োজনে এগিয়ে এসেছে আমার জন্য। অন্ধকার টানেলে আলো জ্বালিয়েছে। রোহিতের কাছে আমি ভীষণ কৃতজ্ঞ।’