শুরুটা হয়েছিল অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ দিয়ে। তার আগেই অবশ্য প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল। তবে বিশ্বকাপ খেলে আসার পর রঞ্জি ট্রফিতে ডাবল সেঞ্চুরি মেরেছিলেন। এ বার দলীপ ট্রফি অভিষেকে ১৮১ রানের চোখ ধাঁধানো ইনিংস। মুশির খানকে নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে। এ বছরই টেস্ট ক্রিকেটে অবশেষে সুযোগ পেয়েছেন সরফরাজ খান। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট অভিষেক হয়েছে সরফরাজের। খুব তাড়াতাড়ি কি ভাই মুশির খানকেও জাতীয় দলে দেখা যাবে? সম্ভাবনা ক্ষীণ। তবে দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটার বিজয় দাহিয়া অবশ্য মনে করছেন, জাতীয় দলের জন্য একটা বিকল্প তৈরি।
ভারতের প্রাক্তন উইকেটকিপার বিজয় দাহিয়ার মতে, মুশিরের মানসিকতা-ফোকাস রয়েছে। ধারাবাহিকতা দেখাতে পারলে বোর্ডের নির্বাচকদের ভাবনায় চলে আসতেই পারেন মুশির। ভারতীয় দলের ভবিষ্যৎ সম্পদ হিসেবেই দেখছেন বিজয় দাহিয়া। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বিজয় দাহিয়া বলেন, ‘ওকে সকলের থেকে আলাদা করেছে মানসিকতা। ওর ভবিষ্যৎ কী হবে জানি না। এটুকু বলতে পারি মানসিক ভাবে ও খুবই শক্তিশালী।’
দেশের এই প্রাক্তন ক্রিকেটার বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি টিমে কোচিংও করিয়েছেন। বিজয় দাহিয়া আরও যোগ করেন, ‘মুশিরের মধ্যে ধারাবাহিকতাও রয়েছে। গত মরসুমে রঞ্জি ট্রফিতে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছিল। সেমিফাইনাল ও ফাইনালে পারফর্ম করেছে। এ বার দলীপের শুরুতেই সেঞ্চুরি। অথচ ও একজন বাঁ হাতি স্পিনার হিসেবেই খেলা শুরু করেছিল। ব্যাটিংয়ে এতটা উন্নতি করেছে, সেটা ওর পারফরম্যান্সেই ধরা পড়ছে। কেউ যদি পরিশ্রম করে, সাফল্য মিলবেই।’