কলকাতা : এ বারের রঞ্জি ট্রফিতে অপরাজিত বাংলা। কোয়ার্টার ফাইনাল আগেই নিশ্চিত করেছে। ঘরের মাঠে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ওড়িশার বিরুদ্ধে নেমেছে বাংলা দল। ম্যাচের প্রথম দিন থেকেই নানা কারণে অস্বস্তি। পিচ ভেজা থাকায় প্রথম দিন চার ঘণ্টা দেরীতে শুরু হয়েছিল ম্যাচ। দ্বিতীয় দিন বাংলা শিবিরে একাধিক চোট অস্বস্তিতে ফেলেছিল। প্রথম ইনিংসে ওড়িশাকে মাত্র ২৬৫ রানে আটকে রাখে বাংলার বোলাররা। যদিও তৃতীয় দিন বাংলার ব্যাটিংয়েও বিপর্যয়। প্রথম ইনিংসে বাংলার ইনিংস শেষ মাত্র ১০০ রানেই। সর্বাধিক ২৭ রান করেন অভিমন্যু ঈশ্বরণ। বাংলাকে ফলো অনের সিদ্ধান্ত নেয় ওড়িশা। এরপরই দুরন্ত প্রত্যাবর্তন বাংলার। তৃতীয় দিনের শেষে ৩ উইকেটে ২২০ রান তুলে নিয়েছে বাংলা। ইনিংসে এখনও অবধি তিনটি অর্ধশতরান। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
ম্যাচের দ্বিতীয় দিন চোট পেয়েছিলেন আকাশ দীপ, অনুষ্টুপ মজুমদার এবং আকাশ ঘটক। আকাশ দীপের কনকাশন পরিবর্ত নেওয়া হয় গীত পুরিকে। অনুষ্টুপ মজুমদার কভারে ফিল্ডিংয়ের সময় আঙুলে চোট পান। কোচ এবং অধিনায়ক দু-জনই বলেছিলেন, ব্যাট করতে পারবেন অনুষ্টুপ। যদিও নিচের দিকে ব্যাট করবেন। কোয়ার্টার ফাইনালের কথা ভেবেই ঝুঁকি নিল না বাংলা শিবির। ব্যাট করেননি অনুষ্টুপ। প্রথম ইনিংসে বাংলার ব্যাটিংয়ে বিপর্যয়ে বড় ভূমিকা নেন ওড়িশার সূর্যকান্ত প্রধান ও সুনীল রাউল। দু-জনই তিনটি করে উইকেট নেন।
ফলো অন খেয়েও দ্বিতীয় ইনিংসে অনবদ্য প্রত্যাবর্তন বাংলার। ইনিংসের শুরুটা যদিও ভালো হয়নি। দলীয় ২৯ রানেই ওপেনিং জুটি ভাঙে। অভিমন্যু ঈস্বরণের সঙ্গে জুটি বাঁধেন সুদীপ ঘরামি। এই মরসুমে দু-জনই ব্য়াট হাতে নজর কেড়েছেন। এ দিনও অর্ধশতরান করলেন সুদীপ। যদিও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ৫০ রানেই ফেরেন সুদীপ। পরপর উইকেট হারায় বাংলা। সুদীপের পরই আউট শুভঙ্কর বল। অভিমন্যু ঈশ্বরণের সঙ্গে অনবদ্য জুটি গড়েন অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি। দিনের শেষে এই অবিচ্ছিন্ন জুটি ১০৩ রান যোগ করেছে। আরও একটা শতরানের সামনে অভিমন্যু ঈশ্বরণ। ৯৪ রানে ক্রিজে রয়েছেন তিনি। অধিনায়ক মনোজ ৫০ রানে ক্রিজে। অনুষ্টুপ মজুমদার দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাট করবেন কী না, ধোঁয়াশা রয়েছে। বাংলা ফলো অন খেয়েও ৫৫ রানে এগিয়ে। অভিমন্যু-মনোজ জুটি ভরসা দিলে অপরাজিত থাকা সম্ভব বাংলার।