লিডস: হেডিংলি এবং বেন স্টোকস। আবারও অনবদ্য একটা ইনিংস। ইংল্যান্ডকে বাগে পেয়েও প্রথম ইনিংসে বড় লিড নিতে ব্যর্থ। তেমনই দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া দ্রুত উইকেট হারিয়ে চাপে। যা পরিস্থিতি হেডিংলিতে তৃতীয় দিনই হয়তো ম্যাচের ফয়সালা হয়ে যেতে পারে। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
প্রথম ইনিংসে মিচেল মার্শের শতরান ভরসা দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়াকে। সেই সেঞ্চুরি না এলে হয়তো ২৬৩ অবধি পৌঁছতে পারত না অজিরা। প্রথম ইনিংসে বড় রানের লিড নেওয়ার সুযোগ ছিল। ৮৭ রানে ৫ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। তবে বেন স্টোকস এসবে নজর দেননি। তাঁর প্রিয় বাজবলেই নজর দেন। লাঞ্চ বিরতির পর কার্যত ৩০০ স্ট্রাইকরেটে ব্যাট করেন। উল্টো দিক থেকে উইকেট পড়লেও খেলার ধরন পাল্টাননি। দু-বার স্টোকসের ক্যাচ ফসকায় অস্ট্রেলিয়া। নিজের বোলিংয়ে তাঁকে আউট করার সুযোগ হারান টড মার্ফি। আর একটি ক্যাচ মিস করেন মিচেল স্টার্ক।
শেষ অবধি ইংল্যান্ডের ইনিংস ইতি হয় স্টোকসের আউটেই। ২৩৭ রান করে ইংল্যান্ড। বেন স্টোকস ১০৮ বলে ৮০ রান। ৬টি বাউন্ডারি এবং পাঁচটি ওভার বাউন্ডারি মারেন। ক্যামিও ইনিংস খেলেন মার্ক উড। মাত্র ৮ বলে ২৪ রান করেন উড। অস্ট্রেলিয়ার লিড আরও অনেক হতে পারত। বেন স্টোকসের ইনিংসই পার্থক্য গড়ে দেয়। আধডজন উইকেট নেন অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।
দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা ভালো হয়নি। দলীয় ১১ রানেই ডেভিড ওয়ার্নারের উইকেট নেন সেই স্টুয়ার্ট ব্রড। লাবুশেন-খোয়াজা জুটি ভাঙে দলীয় ৬৮ রানে। কেরিয়ারের শততম টেস্টে নামা স্টিভ স্মিথ ফেরেন মাত্র ২ রান করেই। খোয়াজা ফিরতেই চাপ বাড়ে। ৯০ রানে ৪ উইকেট হারানোই শুধু নয়, ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি রাখতে ব্যর্থ অস্ট্রেলিয়া। তবে প্রথম ইনিংসের মতো ভরসা দিচ্ছেন মিচেল মার্শ। সঙ্গী ট্রাভিস হেড। ২৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দিনের খেলা শেষ করে অস্ট্রেলিয়া। সব মিলিয়ে তারা ১৪২ রানে এগিয়ে। বেন স্টোকস প্রথম ইনিংসে যে দাপট দেখিয়েছেন, তাতে ৩৫০-র নীচে কোনও লক্ষ্য ইংল্যান্ডকে চাপে ফেলার জন্য যথেষ্ঠ কীনা, সন্দেহ রয়েছে।