মেলবোর্ন: ১৩ নভেম্বরের একলাখ আসনবিশিষ্ট এমসিজির মাঠে ফাইনালে টস করতে নামলেন বারর আজম ও জস বাটলার (Eng vs Pak)। পাকিস্তান এবং ইংল্যান্ড দলের অধিনায়ক। কিছুদিন আগেও দুই দেশের অতি বড় ভক্তও ভাবতে পারেননি এই দৃশ্যটার কথা। এক দলের জিম্বাবোয়ে মতো টিমের কাছে হার। অন্য দল হেরেছিল আন্ডারডগ আয়ারল্যান্ডের কাছে। খাতায় কলমে দুই দুর্বল দলের কাছে হার পাকিস্তান ও ইংল্যান্ড টিমের মনোবল বেশ ভেঙে দিয়েছিল। তারপর কোথায় থেকে কী হয়ে গেল। ছিটকে যায় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড ও সবশেষ টুর্নামেন্ট ফেভারিট ভারত। বিশেষজ্ঞদের সব অঙ্ক ঘেঁটে দিয়ে রবিবাসরীয় মেলবোর্নে মুখোমুখি পাকিস্তান ও ইংল্যান্ড। দুই দেশের সামনে দ্বিতীয় টি-২০ বিশ্বকাপ (T20 World Cup 2022) জয়ের হাতছানি। অনেকে এই টুর্নামেন্টের সঙ্গে ১৯৯২ সালের ওডিআই বিশ্বকাপের মিল খুঁজে পেয়েছেন। সেবার ফাইনালে গ্রাহাম গুচের ইংল্যান্ডকে হারিয়ে খেতাবি লড়াই জিতে নিয়েছিল ইমরান খানের ইংল্যান্ড। বাবর আজম আজ ‘ইমরান খান’ হয়ে উঠবেন, নাকি গ্রাহাম গুচের আক্ষেপ মেটাবেন বাটলার? ফয়সালা হয়ে যাবে আজই। তার আগে টস ভাগ্য সঙ্গ ছিল ইংল্যান্ডের। অধিনায়ক জস বাটলার বাবরদের আগে ব্যাট করতে পাঠালেন।
স্বাভাবিকভাবেই দুই দলের প্রথম একাদশে কোনও পরিবর্তন নেই। পাকিস্তান শিবির পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে টপ অর্ডারের ব্যর্থতা দেখেছে। সেই বাবর আজম-মহম্মদ রিজওয়ান সেমিফাইনালে অর্ধশতরানের ইনিংস খেলেছেন। ব্যাটিংয়ে আর এক জনের কথা আলাদা করে বলতে হয়। মহম্মদ হ্যারিস। রিজার্ভ প্লেয়ার হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় এসেছিলেন। হঠাৎ পাওয়া সুযোগ দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছেন এই ব্যাটার। পাকিস্তানের বোলিং নিয়ে অবশ্য নতুন করে বলার নেই। বিশেষ করে গত দু-ম্যাচে শাহিন আফ্রিদির পারফরম্যান্স ভরসা দেবে পাকিস্তানকে।
ইংল্যান্ডের কথা ভারতীয় সমর্থকদের আলাদা করে বলার নেই। সেমিফাইনালে ভারতের বিরুদ্ধে ১০ উইকেটে অনবদ্য জয়। জস বাটলার এবং অ্যালেক্স হেলস জুটির দুর্দান্ত ব্যাটিং। বাকিদের ডাগ আউটে বসে শুধু ম্যাচ উপভোগ করেছেন। ফাইনালের আগে আত্মবিশ্বাস চুঁইয়ে পড়ছে। সেটা যেন আত্মতুষ্টি না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। মিডল অর্ডার গত ম্যাচে পরীক্ষার সামনে পড়েনি। পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণ অনেক বেশি শক্তিশালী। বাটলার-হেলস জুটি রান না পেলে কিছুটা হলেও চাপে পড়তে পারে ইংল্যান্ড।
ইংল্যান্ডের একাদশ: জস বাটলার, অ্যালেক্স হেলস, ফিল সল্ট, বেন স্টোকস, হ্যারি ব্রুক, লিয়াম লিভিংস্টোন, মইন আলি, স্যাম কারান, ক্রিস ওকস, ক্রিস জর্ডান ও আদিল রশিদ।
পাকিস্তান একাদশ : বাবর আজম, মহম্মদ রিজওয়ান, মহম্মদ হ্যারিস, শান মাসুদ, ইফতিকার আহমেদ, মহম্মদ নওয়াজ, শাদাব খান, মহম্মদ ওয়াসিম, নাসিম শাহ, হ্যারিস রউফ এবং শাহিন শাহ আফ্রিদি।