কয়েক দিন আগের কথা। বিশ্ব ক্রিকেটে শোকের ছায়া নেমে এসেছিল। ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি গ্রাহাম থর্পের মৃত্যু ব্যাথিত করেছে ক্রিকেট বিশ্বকে। এমনটা হওয়ারই কথা। ৫৫ বছরের প্রয়াত হন কিংবদন্তি থর্প। তাঁর মৃত্যুটা হঠাৎ নয়, বরং নিজেই নিজেকে শেষ করেছন থর্প। এমনই দাবি তাঁর পরিবারের। বছরের পর বছরের জীবনযাপনের কারণেই নাকি এমন হয়েছে। ইংল্যান্ডের আর এক প্রাক্তন ক্রিকেটার মাইকেল আথারটনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে প্রকাশ্যে এনেছেন গ্রাহাম থর্পের স্ত্রী আমান্ডা। কী বলছেন তিনি?
গত ৫ অগস্ট গ্রাহাম থর্পের মৃত্যুর কথা ঘোষণা করে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড। মাইক আথারটনকে এক সাক্ষাৎকারে আমান্ডা বলেন, ‘ও গত সম্প্রতি প্রচণ্ড অসুস্থ ছিল। সেটা শুধু শারীরীক নয়, মানসিক ভাবেও। ওর মনে হত, ওকে ছাড়াই আমরা বেশি ভালো থাকব। ওর মনে হত, আমরা ওকে নিয়ে খুব খারাপ পরিস্থিতিতে রয়েছি। নিজেকে শেষ করে দিল।’
ফার্নহ্যাম ক্রিকেট ক্লাবে এক স্মরণসভায় আমান্ডা ছাড়াও ছিলেন গ্রাহাম থর্পের দুই কন্যা কিটি ও এমা। স্ত্রী আমান্ডা আরও যোগ করেন, ‘গত দু-বছর বড় রকমের মানসিক অবসাদে ভুগছিল গ্রাহাম। সারাক্ষণ উদ্বেগে থাকত। সেই থেকেই মে মাসেও নিজেকে শেষ করার চেষ্টা করেছিল। যে কারণে ওকে দীর্ঘ সময় ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিটে রাখতে হয়।’
আমান্ডা আরও বলেন, ‘ওর জীবনে আশার আলো ছিল। কাজও ঠিকঠাক হচ্ছিল। তারপরও কেন এত অবসাদ, উদ্বেগে ভুগতো বুঝে উঠতে পারিনি। সারাক্ষণ ওর পাশে থেকেছি। দুই মেয়ে চেষ্টা করেছে, বাবাকে ভরসা দিয়েছে। অনেক চিকিৎসাই করা হয়েছে। কোনও কিছুই কাজে দেয়নি।’