পারথ: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (T20 World Cup) প্রথম বার। উত্তেজনায় ফুটছেন ভারতীয় শিবিরের চার ক্রিকেটার। দীপক হুডা, অর্শদীপ সিং, হর্ষল প্যাটেলদের সঙ্গে রয়েছেন যুজবেন্দ্র চাহালও (Yuzvendra Chahal)। অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছে গিয়েছে ভারতের (Team India) মূল স্কোয়াড। পারথে রয়েছে ভারতীয় দল। ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে তারা। কয়েকটি প্র্যাকটিস ম্যাচও খেলবে। এর পর বিশ্বকাপের ওয়ার্ম আপ ম্যাচও রয়েছে দুটি। প্রস্তুতির নানা খবর দিল ‘চাহাল’ টিভি। বাকি তিন জনের থেকেও জেনে নিলেন বিশ্বকাপের আগে তাঁদের ভাবনা কী! পারথ থেকে হদিশ দিলেন লেগ স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহাল।
কী ভাবছেন হর্ষল প্যাটেল! চাহাল টিভিতে হর্ষল বলেন, ‘প্রথম আইসিসি টুর্নামেন্ট, তাও আবার টি-২০ বিশ্বকাপ। প্রচণ্ড উত্তেজনায় ফুটছি। এখানে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা। মানিয়ে নিতে একটু সমস্যা হচ্ছে। ধীরে ধীরে হয়ে যাবে। দলের মধ্যেও দারুণ পরিবেশ। মাঠে দর্শক প্রবেশ করলে আরও ভালো অনুভূতি হবে। আপাতত প্রথম ম্যাচের কথাই ভাবছি।’ দীপক হুডার দিকে মাইক নিতেই থতমত অবস্থা। চাহালকে পাল্টা প্রশ্ন করলেন, ‘কী বলব?’। প্রশ্নটা একই নিশ্চিত করলেন চাহাল। দীপক বলছেন, ‘বিশ্বকাপের স্কোয়াডে রয়েছি, এই খবরটাই আমার এবং পরিবারের কাছে গর্বের মুহূর্ত ছিল। সে সময় দলের সঙ্গেই ছিলাম। যেমনটা হর্ষলভাই বলল, আমিও বলতে চাই, আমরা বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত।’
এ বার পালা অর্শদীপের। বছরখানেক আগেও শুধুমাত্র ঘরোয়া ক্রিকেট এবং আইপিএলের চিত্রেই ছিলেন অর্শদীপ। হঠাৎই কেরিয়ারে নতুন মোড় তাঁর। জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে তা কাজেও লাগিয়েছেন। এশিয়া কাপে ভালো পারফর্ম করেছেন। এ বার নজরে বিশ্বকাপ। দলের তরুণ এই সদস্য বলছেন, ‘আমার নতুন কিছু বলার নেই।’ ইন্ডিয়া ব্লেজার পরে বিশ্বকাপ খেলতে রওনা দেওয়া। সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে অর্শদীপ বলেন, ‘আমার বুক এত্ত চওড়া নয়। তবে ইন্ডিয়া ব্লেজার পর গর্বে চওড়া হয়ে গিয়েছিল। খুশি এবং গর্বের মুহূর্ত।’
বিশ্বকাপে ভারতের প্রথম ম্যাচ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। শুরুতেই হাই-ভোল্টেজ ম্যাচ। হর্ষল বলছেন, ‘এই দু-সপ্তাহ এটাই চেষ্টা থাকবে যত দ্রুত সম্ভব এখানকার পরিবেশ পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া যায়। প্রথম ম্যাচের আগে মানসিক এবং শারীরীকভাবে সেরা জায়গায় থাকতে চাই।’ সব প্রশ্ন চাহালই করবেন! তেমনটা হতে দিলেন না হর্ষল। দেশের হয়ে সাদা বলের ক্রিকেটে প্রচুর ম্যাচ খেললেও চাহালের প্রথম টি-২০ বিশ্বকাপ। হর্ষলের প্রশ্নে চাহাল বলেন, ‘আমার কাছেও গর্বের মুহূর্তে। বিশ্বকাপের আলাদাই গুরুত্ব থাকে। অস্ট্রেলিয়ায় আগেও খেলেছি। পরিবেশ-পরিস্থিতি সম্পর্কে অনেকটাই জানি। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চাই।’