বার্মিংহাম : কলকাতা নাইট রাইডার্সে দীর্ঘ সময় কোচ ছিলেন। খেলেছেনও। গত আইপিএলে ছিলেন কেকেআরের কোচ। আইপিএলের পর দায়িত্ব নিয়েছেন ইংল্যান্ডের। কেকেআরে প্রাক্তন ছাত্র শ্রেয়স আইয়ারের (Shreyas Iyer) শক্তি দুর্বলতা জানেন ব্রেন্ডন ম্য়াকালাম (Brendon Mccullam)। এজবাস্টন টেস্টে সেটাই কাজে লাগালেন। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টানা তিন টেস্ট জিতে ইংল্যান্ড আত্মবিশ্বাসে ফুটছিল। ভারতের বিরুদ্ধে এতটা কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে হবে সেটা হয়তো প্রত্য়াশা করেননি। শ্রেয়সকে ফেরাতে তাই শর্ট বল পন্থার সিগন্যাল দেন প্রাক্তন কেকেআর কোচ। ডব্লিউডব্লিউই তারকা আন্ডারটেকারের ভঙ্গিতে গলা কাটার ইশারা করেন ম্যাকালাম।
চেতেশ্বর পূজারা এবং ঋষভ পন্থ চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করেন। পূজারা দ্রুত ফিরতেই সাময়িক চাপে ভারত। শ্রেয়স আইয়ার ষষ্ঠ টেস্ট খেলছেন। তিনটি অর্ধশতরান এবং একটি শতরানও রয়েছে। তবে ইংল্য়ান্ডের পরিবেশ, চতুর্থ দিনের পিচ, রান করা সহজ নয়। শ্রেয়স সিঙ্গল নিয়ে ইনিংস অ্য়াঙ্কর করছিলেন। তাঁকে আটকাতে মরিয়া ম্যাকালাম গলা কাটার সিগন্যাল দেন। এরপরই লাগাতার শর্টপিচ বোলিং শুরু করেন ইংল্য়ান্ড পেসাররা। পরিকল্পনা কাজেও দেয়। শর্ট পিচ ডেলিভারিতে পুল করতে গিয়ে শর্ট মিড উইকেটে জিমি অ্যান্ডারসনের ক্যাচে ফেরেন শ্রেয়স। মাত্র ১৯ রানেই ইতি শ্রেয়সের ইনিংসের। প্রথম ইনিংসে করেছিলেন ১৫ রান। শর্ট পিচ দুর্বলতা না কাটালে শ্রেয়সের সমস্যা বাড়বে সন্দেহ নেই।
শ্রেয়সের উইকেট পাওয়ায় এই পরিকল্পনা ধরে রাখে ইংল্য়ান্ড। পিচে অসমান বাউন্স রয়েছে। একই লেন্থে কোনও বল বুকের উচ্চতায় উঠছিল। অনেক ডেলিভারিই হাঁটু অবধি উঠেছে। ব্যাটারদের দ্বিধা নিয়ে খেলতে হচ্ছিল। বিরাট কোহলির আউটের ক্ষেত্রেও এই দ্বিধাই কাজ করেছে। শর্ট বলের বাউন্স বুঝতে না পেরে হেলমেটে আঘাত পান শার্দূল ঠাকুর। শেষে শর্ট পিচেই আউট হন তিনি। এছাড়াও সামি, বুমরা শর্ট পিচে আউট হন।