India vs South Africa: মুক্তির নতুন পৃথিবীতে পা দিতে চলেছেন ঋষভ পন্থরা

TV9 Bangla Digital | Edited By: সঙ্ঘমিত্রা চক্রবর্ত্তী

Jun 06, 2022 | 7:30 PM

বায়ো বাবলের খারাপ দিক নিয়ে কম আলোচনা হয়নি এই দু'বছর ধরে। মানসিক ভাবে ক্রিকেটারদের চাঙ্গা রাখতে রোটেশন পদ্ধতি চালু করা হয়েছিল। যাতে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সবাই পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন। বায়ো বাবলে দীর্ঘদিন থাকার ফলে কেউ কেউ নিজেদের মোটিভেট করতে পারেননি। মনোবিদ রাখতে বাধ্য় হয়েছিল টিমগুলো। তাতেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়নি।

India vs South Africa: মুক্তির নতুন পৃথিবীতে পা দিতে চলেছেন ঋষভ পন্থরা
মুক্তির নতুন পৃথিবীতে পা দিতে চলেছেন ঋষভ পন্থরা
Image Credit source: Twitter

Follow Us

নয়াদিল্লি: অবশেষে বায়ো বাবল (Bio-Bubble) থেকে বেরিয়ে স্বস্তিতে ঋষভ পন্থ এবং তাঁর টিমমেটরা। করোনার প্রভাবে দু’বছর আগে বায়ো বাবল নামক এক নতুন পরিবেশের মধ্যে ঢুকতে বাধ্য হয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। তার পর মুক্তি মেলেনি। হোটেলের রুম, জৈব সুরক্ষার মধ্যে ট্রেনিং, ম্যাচ খেলে মাঠ থেকে সরাসরি হোটেলে ফিরে আসা। বাইরের দুনিয়াটা প্রায় ভুলতে বসেছিলেন লোকেশ রাহুল (KL Rahul), ঋষভ পন্থরা (Rishabh Pant)। সেখান থেকে মিলতে চলেছে মুক্তি। যেন চেনা অথচ এক নতুন পৃথিবীতে পা দিতে চলেছে ভারত! আইপিএল পর্যন্ত এ সব ছিল অলীক কল্পনা। দক্ষিণ আফ্রিকার (India vs South Africa) বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে আর বায়ো বাবল থাকছে না। তবে কিছু নিয়মের মধ্যে থাকতে হবে। রোজ নিময়মাফিক কোভিড টেস্ট হবে। বাইরের দুনিয়ায় মিশতে পারবেন না খুব বেশি। টিমের বাইরে বেরোতে হলে পরতে হবে মাস্ক। তাতে আপত্তি নেই ভারতীয় ক্রিকেটারদের। বায়ো বাবলে থাকার দরুণ মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন প্লেয়াররা। সেখান থেকে আপাতত মুক্তি।

পন্থ বলে দিচ্ছেন, ‘বায়ো বাবল থেকে বেরোতে পারাটা দারুণ স্বস্তির, তৃপ্তিরও। আশা করি আর এই রকম পরিবেশে ঢুকতে হবে না। এ বার সময়টা উপভোগ করব। যখন কেউ সারা বছর খেলে, বিশেষ করে চাপের মধ্যে নিজেকে রিল্যাক্স রাখাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যদি কেউ নিজেকে তরতাজা রাখতে না পারে, তা হলে একশো শতাংশ দেওয়া যায় না।’

বায়ো বাবলের খারাপ দিক নিয়ে কম আলোচনা হয়নি এই দু’বছর ধরে। মানসিক ভাবে ক্রিকেটারদের চাঙ্গা রাখতে রোটেশন পদ্ধতি চালু করা হয়েছিল। যাতে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সবাই পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন। বায়ো বাবলে দীর্ঘদিন থাকার ফলে কেউ কেউ নিজেদের মোটিভেট করতে পারেননি। মনোবিদ রাখতে বাধ্য় হয়েছিল টিমগুলো। তাতেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়নি। কেউ কেউ ক্রিকেট থেকে সাময়িক বিরতিও নিয়ে নিয়েছিলেন। পন্থ ভালো-খারাপ দুই দিক সম্পর্কেই সমান ওয়াকিবহাল। যে কারণে বায়ো বাবল থেকে বেরোতে পেরে স্বস্তিতে।

গত কয়েক বছর ধরে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি কিপিংয়েও প্রচুর উন্নতি করেছেন এখন নিজেকে কিপার-ব্যাটার হিসেবে তুলে ধরছেন। পন্থের কথায়, ‘যখনই মাঠে নামি না কেন, আমি সব সময় নিজের সেরাটা দিই। আমি বরাবরই নিজেকে কিপার-ব্যাটার বলতে ভালোবাসি। তার কারণ, আমি কিপার হিসেবে ক্রিকেট খেলা শুরু করেছিলাম। আমার বাবাও কিপার ছিলেন। বাবাকে দেখেই আমার কিপিং শুরু।’

Next Article