Test Cricket: প্রবল বিরোধিতায় গ্রেম স্মিথ, অর্জুন রণতুঙ্গা! আইসিসি কি বদলাবে ভাবনা?

ICC: রোমাঞ্চ ফেরাতে টেস্ট ক্রিকেটকে টু-টিয়ার বা দ্বিস্তরীয় করার ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে আইসিসি। জয় শাহ বিশ্ব ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থার চেয়ারম্যান হওয়ার পরই এই ভাবনা শুরু হয়েছে।

Test Cricket: প্রবল বিরোধিতায় গ্রেম স্মিথ, অর্জুন রণতুঙ্গা! আইসিসি কি বদলাবে ভাবনা?
প্রবল বিরোধিতায় গ্রেম স্মিথ, অর্জুন রণতুঙ্গা! আইসিসি কি বদলাবে ভাবনা?Image Credit source: PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 08, 2025 | 2:06 PM

কলকাতা: রোমাঞ্চ ফেরাতে টেস্ট ক্রিকেটকে টু-টিয়ার বা দ্বিস্তরীয় করার ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে আইসিসি। জয় শাহ বিশ্ব ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থার চেয়ারম্যান হওয়ার পরই এই ভাবনা শুরু হয়েছে। ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের মতো দেশগুলোকে রাখা হবে প্রথম স্তরে। দ্বিতীয় স্তরে বাকি সদস্য দেশগুলো। এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়বে বলে ধারনা আইসিসির। কিন্তু এ ভাবনা নিয়ে প্রবল প্রতিবাদও শুরু হয়ে গিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন ক্যাপ্টেন গ্রেম স্মিথ থেকে শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপজয়ী ক্যাপ্টেন অর্জুন রণতুঙ্গা সরাসরি নাকচ করে দিচ্ছেন আইসিসির এই ভাবনাকে। তাঁদের মনে হচ্ছে, এতে ক্ষতি হবে ক্রিকেটেরই।

স্কাই স্পোর্টসের পডকাস্টে গ্রেম স্মিথের যুক্তি, ‘তার মানে, সেরা তিনটে টিম শুধুই নিজেদের মধ্যে খেলে যাবে। তা হলে পরবর্তী টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ছবিটা কি দাঁড়াবে? এটা নিয়ে যখন ভাবছিলাম, তখন মনে হল, ভারত, ইংল্যান্ড আর অস্ট্রেলিয়া কতবার নিজেদের বিরুদ্ধে খেলবে আগামী বছরে? এটা কিন্তু অন্য দেশগুলোর পক্ষে নেওয়া বেশ কঠিন হবে। ভারতের মতো বানিজ্যিক ভাবে সফল দেশের গ্রহণযোগ্যতা কিন্তু অন্যান্য টেস্ট খেলিয়ে দেশগুলোর কাছে যথেষ্ট। শুধুমাত্র তিনটে দেশের উপর নির্ভর করে আইসিসি কী ভাবে টেস্টকে শক্তিশালী করবে? আমার মনে হয়, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কার মতো দেশগুলো টেস্টে শক্তিশালী হয়ে উঠুক। সেই প্রত্যাশা থাকা উচিত। সেটাই টেস্ট ক্রিকেটের পক্ষে ভালো।’

রণতুঙ্গা আবার বলছেন, ‘আমি অর্থনীতিটা বুঝতে পারছি। এতে কিন্তু তিনটে বোর্ডের পকেট ভরবে। মাথায় রাখতে হবে, ক্রিকেট মানে কিন্তু পাউন্ড, ডলার আর রুপিজ নয়। প্রশাসনকে খেলাটা যেমন লালনপালন করতে হবে, তেমনই শক্তিশালী করে তুলতে হবে। ভারত বরাবর বিশ্ব ক্রিকেটকে দিশা দেখিয়েছে। জগমোহন ডালমিয়া, রাজসিং দুঙ্গারপুর, শরদ পাওয়ার, শশাঙ্ক মনোহরদের ভারতের জন্য ভালোবাসাটা হৃদয়েই থেকেছে। তাঁরা কিন্তু উন্নতির সার্বিক ছবিতেই চোখ রেখেছেন বরাবর। ভারতের কাছ থেকে ওই ভিশনটা দরকার।’

এই খবরটিও পড়ুন

জয় শাহ যতই বৈপ্লবিক হওয়ার চেষ্টা করুন, আইসিসির সর্বোচ্চ পদে বসে হঠাৎ করে সব কিছু পাল্টে ফেলবেন, তা কিন্তু হবে না। সদস্য দেশগুলোর আস্থা অর্জন করতে না পারলে তিনিই চাপে পড়ে যাবেন।