CWC Retro Story: দু-বলে পাঁচ রান, স্টেইন-গানকে ছয়; ইডেন পার্ক হয়ে উঠেছিল ইলিয়ট পার্ক!

Sep 24, 2023 | 10:00 AM

Greatest World Cup matches: দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংসের ৩৯তম ওভারের আগে বৃষ্টি নামে। সময় নষ্ট হয়। ওভারও কমে। ম্যাচ দাঁড়ায় ৪৩ ওভারের। ৩৮ ওভারে ২১৬-৩ স্কোর ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। বৃষ্টি বিরতির পর ডেভিড মিলারের দাপট। ৪৩ ওভারে ৫ উইকেটে ২৮১ রান তোলে প্রোটিয়ারা। ফাফ ডুপ্লেসি ৮২ রান করেন। এবিডি মাত্র ৪৫ বলে ৬৫ রান। কিলার মিলার ১৮ বলে ৪৯ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন।

CWC Retro Story: দু-বলে পাঁচ রান, স্টেইন-গানকে ছয়; ইডেন পার্ক হয়ে উঠেছিল ইলিয়ট পার্ক!
Image Credit source: ICC

Follow Us

কলকাতা: ইডেন গার্ডেন্সের নাম কে না জানে! ইডেন পার্ক মনে পড়ছে? নিউজিল্যান্ডের শহর অকল্যান্ডে যে স্টেডিয়াম রয়েছে, সেটিই ইডেন পার্ক। বহু নাটকীয় ম্যাচের সাক্ষী। নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেট মাঠগুলি অনেক ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেট মাঠের মতোই। আকারে তুলনামূলক ছোট। ছয় মারলে এবং ব্যাটে বলে ঠিকঠাক সংযোগ হলে স্টেডিয়াম সংলগ্ন রাস্তায়ও বলটি ল্যান্ড করতে পারে। সেখানেই ডেল স্টেনের বিরুদ্ধে যেন বিক্রম হয়ে উঠেছিলেন গ্র্যান্ট ইলিয়ট। তাঁর সফ্ট ল্যান্ডিং, আরও একবার সেমিফাইনালেই দৌড় শেষ করে দিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে! বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।

ওয়ান ডে ক্রিকেট বিশ্বকাপের সেরা কিছু ম্যাচ নিয়ে এই সিরিজ। এর মধ্যে কয়েকটা ম্যাচ নিয়ে কথা হয়েছে। চলুন আজ মনে করি এবং করাই ২০১৫ ওডিআই বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনাল। ২০১৫ বিশ্বকাপের যৌথ আয়োজক ছিল অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে হয় প্রথম সেমিফাইনাল। মুখোমুখি অন্যতম আয়োজক নিউজিল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকা।

নিউজিল্যান্ডের আবহাওয়াও অনেকটা খামখেয়ালি। মন খারাপ হলেই বৃষ্টি নামে। টস জিতে তবুও ব্যাটিং নিয়েছিলেন প্রোটিয়া অধিনায়ক এবি ডিভিলিয়ার্স। সাধারণত, বৃষ্টির পরিস্থিতিতে রান তাড়াই তুলনামূলক কম ঝুঁকির। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার যা ব্যাটিং লাইন আপ, তারা বোর্ডে বড় স্কোর গড়বে এবং শক্তিশালী বোলিং লাইন আপ ম্যাচ জেতাবে, ভরসা রেখেছিলেন এবিডি। সব হয়তো ঠিকঠাকই এগত। কিন্তু বিশ্বকাপের শেষ চারের গেড়োয় ফের আটকে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। নিউজিল্যান্ড মসৃণ পথে ম্যাচ জিতেছে তাও নয়। আর রোমাঞ্চকর ম্যাচ বলেই তো, এখনও আলোচনা হয়!

দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংসের ৩৯তম ওভারের আগে বৃষ্টি নামে। সময় নষ্ট হয়। ওভারও কমে। ম্যাচ দাঁড়ায় ৪৩ ওভারের। ৩৮ ওভারে ২১৬-৩ স্কোর ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। বৃষ্টি বিরতির পর ডেভিড মিলারের দাপট। ৪৩ ওভারে ৫ উইকেটে ২৮১ রান তোলে প্রোটিয়ারা। ডুপ্লেসি ৮২ রান করেন। এবিডি মাত্র ৪৫ বলে ৬৫ রান। মিলার ১৮ বলে ৪৯ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন।

ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মে ৪৩ ওভারে নিউজিল্যান্ডের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৯৮ রান। নিউজিল্যান্ড শুরু থেকেই বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে মন দেয়। বিশেষ করে বলতে হয় ‘বাজ’ বলের কথা। কিউয়ি অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাকালাম ২৬ বলে ৫৯ রানে ফেরেন। ৪১তম ওভারের প্রথম বলে ষষ্ঠ উইকেট হিসেবে ফেরেন কিপার-ব্যাটার লুক রঙ্কি। তার আগে কোরি অ্যান্ডারসন হাফসেঞ্চেুরি করে ফিরেছেন।

যাই হোক, শেষ অঙ্ক দাঁড়ায় দু-বলে ৫ রান। বোলিংয়ে ডেল স্টেইন। বিশ্বের অন্যতম সেরা পেসার। উল্টোদিকে গ্র্যান্ড ইলিয়ট। তাঁর ক্রিকেট জীবনের সেরা ইনিংসটা যেন খেলেছিলেন সেদিন। ২ বলে ৫ রান, সামনে স্টেইন-গান, চূড়ান্ত চাপের মুহূর্ত। পঞ্চম বলে ছয় মেরে ম্যাচ ফিনিশ ইলিয়টের। এক বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে। ইলিয়ট ৭৩ বলে ৮৪ রানে অপরাজিত থাকেন।

আরও একটা সেমিফাইনাল, ফল বদলায়নি। কান্নায় ভেঙে পড়েন মিস্টার ৩৬০ডিগ্রি এবি ডিভিলিয়ার্স। তাঁকে সান্ত্বনা দেবেনই বা কে! ডেল স্টেইন ক্রিজে বসে পড়েছেন। ইমরান তাহির, মর্নি মরকেল, রাইলি রোসোরা মুখ ঢেকেছেন হতাশায়। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটে ‘চোকার্স’ তকমা এঁটে যায় অজান্তেই।

Next Article