কী বলবেন, নিজেও যেন বুঝতে পারছেন না। আইপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ারে চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে হার। আপাতত ফাইনালের জন্য ওয়েটিং লিস্টে গুজরাট টাইটান্স। অথচ সমস্ত পরিসংখ্যান যেন হার্দিক পান্ডিয়াদের পক্ষেই ছিল। এই ম্যাচের আগে তিন বার মুখোমুখি হয়েছিল গুজরাট টাইটান্স ও চেন্নাই সুপার কিংস। তিন বারই জিতেছিল গুজরাট টাইটান্স। তেমনই রান তাড়া করার দিক থেকে গুজরাট টাইটান্সের পরিসংখ্যান চমকে দেওয়ার মতোই। গত বারের চ্যাম্পিয়ন গুজরাট টাইটান্স। এ বারও প্রথম দল হিসেবে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছিল। গ্রুপ পর্বে শীর্ষস্থানে ছিল তারা। টস জেতায় হার্দিকের অর্ধেক পরিকল্পনা যেন সফল হয়ে যায়। রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নিতে ভাবেননি। মহেন্দ্র সিং ধোনি যার প্রেক্ষিতে জানিয়েছিলেন, তিনি টস জিতলে ব্যাটিং নিতেন এবং গুজরাট টাইটান্সের রান তাড়ার পরিসংখ্যান জেনেও সেই ঝুঁকি নিতেন। নিজেদের চ্যালেঞ্জ করাই যেন লক্ষ্য ছিল। টস হারায় ধোনিকে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে হয়নি। হার্দিক টস জিতে ফিল্ডিং নিয়ে চেন্নাইকে ১৭২ রানে আটকে রাখে। তারপরও ১৫ রানে হার। এই পিচে ১৮০-১৯০ এর কম রান তাড়া করা উচিত বলেই ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরাও মন্তব্য করছিলেন। একটা সময় অবধি মনে হচ্ছিল টাইটান্স এই রান সহজেই তাড়া করবে। কোথায় ভুল হল? ম্যাচ শেষে হার্দিক পান্ডিয়া সেটাই ব্যাখ্যা করলেন। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
হার্দিক পান্ডিয়া জানালেন, প্রাথমিক পরিকল্পনাতেই ভুল ছিল তাঁদের। হার্দিকের কথায়, ‘বোলিংয়ে আমাদের আরও ভালো করা উচিত ছিল। প্রাথমিক কিছু ভুল করেছি। সেটাই বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। চেন্নাই ইনিংস শেষ হওয়ার পরই মনে হয়েছিল, এই পিচ এবং আমাদের যা বোলিং লাইন আপ, চেন্নাইকে হয়তো ১৫ রান বেশি করতে দিয়ে ফেলেছি। আমাদের আরও কম রানে আটকে রাখা উচিত ছিল। আমরা অনেক কিছুই সঠিক করেছি, তবে কিছু লুজ বলও হয়েছে। সব পরিকল্পনা ঠিক চলছিল, এর মধ্যে কিছু বাড়তি রান বেরিয়েছে।’
তাহলে কি টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে আপশোস করছেন? হার্দিক বলছেন, ‘আপশোস করে জীবনে ভালো কিছু হয় না। প্রত্যাশা করেছিলাম, পরের দিকে শিশিরের প্রভাব থাকবে। সেটা হয়নি।’ আরও যোগ করলেন, ‘ব্যাটিং বিভাগ হিসেবেও নিয়মিত উইকেট হারিয়েছি। রান তাড়ার ক্ষেত্রে যা অনেক বড় বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। সব মিলিয়ে ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই কিছু ভুল হয়েছে। সে কারণেই হেরে যাওয়া দলের অধিনায়ক হিসেবে কথা বলছি।’