পয়সা উসুল ইনিংস! খুব সহজ করে বললে এমনটাই দাঁড়ায়। যদিও আমেদাবাদে শুভমনের ইনিংসকে কোনও বিশেষণেই মাপা যাবে না। ইনিংসের গতি বাড়ানোর স্টাইলও আলাদা। ক্রিকেট কত সহজ…শুভমনের ব্যাটিং দেখে যেন তাই মনে হয়। গত আইপিএলে অভিষেক গুজরাট টাইটান্সের। অভিষেকেই চ্যাম্পিয়ন। কোনও একজনের ওপর নির্ভরশীল নয় টাইটান্স। গত বারও সেটা দেখা গিয়েছিল, এ বারও টিম গেম। তার মধ্যেও বাড়তি আকর্ষণ শুভমন গিল। এ মরসুমে তিনটে সেঞ্চুরি তাঁর ব্যাটে। প্রথম কোয়ালিফায়ারে চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে হারেও উজ্জ্বল ছিলেন শুভমন। দলকে জেতানোর জন্য যথেষ্ঠ ছিল না সেই ইনিংস। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার জিতে ফাইনালে টাইটান্স। এর জন্য বড় কৃতিত্ব প্রাপ্য। শুভমনকে নিয়ে কী বলছেন অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া? বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
শুরুতে সতর্ক ব্যাটিং করেন। ব্যক্তিগত ৩০ রানে তাঁর ক্যাচ ফসকান টিম ডেভিড। শুভমনের মতো ব্যাটার দ্বিতীয় সুযোগ পেলে কী হয়, ভালো ভাবেই টের পেল মুম্বই। ৩২ বলে অর্ধশতরান পূর্ণ করেন। ৪৯ বলে সেঞ্চুরিতে। অর্ধশতরানের পর কী ভাবে গিয়ার শিফ্ট করেছেন এর থেকেই পরিষ্কার। শেষ অবধি ৬০ বলে ১২৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। ম্যাচ শেষে টাইটান্স অধিনায়ক হার্দিক বলেন, ‘ও যে ভাবে পরিষ্কার প্ল্যানিং নিয়ে ব্যাট করছে, আত্মবিশ্বাস অসাধারণ। আমার দেখা অন্যতম সেরা টি-টোয়েন্টি ইনিংস এটাই।’ আইপিএল প্লে-অফে ব্যক্তিগত সর্বাধিক রানের নজিরও গড়েন শুভমন। তাঁর ইনিংসের সৌজন্যেই মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে ২৩৪ রানের বিশাল লক্ষ্য দেয় গুজরাট টাইটান্স।
শুভমনের ইনিংস প্রসঙ্গে টাইটান্স অধিনায়ক আরও বলেন, ‘ইনিংসের কোনও মুহূর্তেই মনে হয়নি তাড়াহুড়ো করছে। একটা মুহূর্তের জন্যও মনে হয়নি নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। দেখে মনে হচ্ছিল, যেন ওকে কেউ থ্রো-ডাউন দিচ্ছে আর ও শুধু শট খেলছে। আমার কাছে ও সুপারস্টার। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটেই শুধু নয়, ভারতীয় ক্রিকেটেও বড় কিছু হতে চলেছে।’