কলকাতা: রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) সেমিফাইনালে (Semi final) মঙ্গলবার মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে নামছে বাংলা (Bengal)। প্রতিপক্ষ, পিচ, পরিস্থিতি সবই আলাদা। গত কয়েক মরসুমে ভালো খেললেও তীরে এসে তরী ডুবেছে বাংলার। ‘সেমিফাইনাল’ কথায় বেশি জোর না দিয়ে বরং নতুন এবং আরও একটা ম্যাচ হিসেবেই দেখতে চাইছে বাংলা শিবির। আরও পরিষ্কার করে বললে, ধাপে ধাপে এগনো। বাংলার জন্য স্বস্তির খবর মনোজ তিওয়ারি (Manoj Tiwary)। এদিন মনোজ অনুশীলন করেছেন, জানালেন হেড কোচ অরুণ লাল। কোয়ার্টার ফাইনালে দুই ইনিংসে অনবদ্য ইনিংস খেলেছেন মনোজ। দ্বিতীয় ইনিংসে শতরান। তাঁর অভিজ্ঞতা দলের সম্পদ। কোয়ার্টার ফাইনালে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে বাংলা। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করেছেন বাংলার ৯ ব্যাটার। প্রত্যেকের ব্যাটেই অর্ধশতাধিক রান। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নজির। সেমিফাইনালে সব কিছু নতুন করেই দেখছে বাংলা শিবির।
মধ্যপ্রদেশ ম্যাচের আগে বাংলা দলে সুস্থ মাথাব্যাথা বোলিং কম্বিনেশন। কোয়ার্টার ফাইনালে এক স্পিনার খেলিয়েছিল বাংলা। কোচ অরুণ লাল সেটিকে ঝুঁকি হিসেবেই বর্ণনা করেছেন। সেমিফাইনালে দুই স্পিনার খেলানোর কথা পরিষ্কার করে দিলেন কোচ। পেস বোলিং অলরাউন্ডার সায়ন শেখর মন্ডল ব্যাটে বলে পারফর্ম করেছেন। বাংলার বাকি তিন পেসার কোয়ার্টার ফাইনালে প্রত্যাশিত সাফল্য না পেলেও গ্রুপ পর্বে অনবদ্য পারফর্ম করেছিলেন। কোচ অরুণ লালের কথায়, ‘তিন পেসার, দুই স্পিনার খেলানো নিশ্চিত। কাকে বসানো হবে সেটা সত্যিই চিন্তার। কঠিন হলেও সিদ্ধান্ত নিতেই হবে।’
একাদশে বাঁ হাতি স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার শাহবাজ আহমেদ রয়েছেন। ফলে অফস্পিনার ঋত্বিক চ্যাটার্জিকে খেলানোর সম্ভাবনাই বেশি। বিকল্প রয়েছেন প্রদীপ্ত প্রামাণিকও। দলের ক্রিকেটারদের স্বাভাবিক খেলার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধান কোচ অরুণ লাল। একই বার্তা অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণেরও, ‘আমরা সেমিফাইনাল অবধি পারফর্ম করে পৌঁছেছি, এই ম্যাচেও সেটাই করতে হবে। এর বেশি কিছু বলার নেই।‘ বোলিং কম্বিনেশন নিয়ে খোলসা না করলেও বললেন, ভাবনা রয়েছে দুই স্পিনারের। ‘এই ম্যাচে কে কার্যকর হতে পারে, তাকে খেলাতে হবে। সিদ্ধান্তটা খুবই কঠিন। দলের স্বার্থে কাউকে না কাউকে বসাতেই হবে’ বলছেন অধিনায়ক। মনোজ তিওয়ারি, অনুষ্টুপ মজুমদারের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটার রয়েছেন বাংলা দলে। অধিনায়ক অভিমন্যুর অভিজ্ঞতাও কম নয়। অধিনায়ক বলছেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে। পাঁচদিনে কে ভালো খেলছে, ফল তার উপরই নির্ভর করবে। মনোজ ভাইয়া এত বছর ধরে খেলছে। বাংলার হয়েই শুধু নয়, দেশের হয়েও খেলেছে। অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর চেষ্টা করবো।‘ প্রতিপক্ষ দলের কাকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন! রজত পাতিদার, কুলদীপ সেনের মতো ক্রিকেটাররা রয়েছেন মধ্যপ্রদেশ দলে। ‘ওভাবে আলাদা করে কাউকে নিয়ে ভাবছি না। প্রত্যেকের জন্য পরিকল্পনা রয়েছে। সেটাই বাস্তবায়িত করতে চাইবো’ বলছেন বাংলা অধিনায়ক।