আমেদাবাদ: বোলাররা জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, এমনটা বেশির ভাগ দলেই দেখা যায় না। বরং পরিসংখ্যান খুঁজতে হয়। প্যাট কামিন্সের হাতে যখন নেতৃত্ব তুলে দেওয়া হয়েছিল, তখনও একই পরিস্থিতি। পরিসংখ্যান খুঁজতে হয়েছে, শেষ কবে কোনও বোলার কিংবা পেসার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ভারতীয় টেস্ট দলকে ইংল্যান্ডে নেতৃত্ব দিয়েছেন জসপ্রীত বুমরা। কেউ যেন প্রত্যাশাই করেননি। বোলাররও ভালো ক্যাপ্টেন হতে পারে, এই ধারনাটা এখনও প্রতিষ্ঠিত নয়। ট্রেন্ড যেন বদলে দিচ্ছেন প্যাট কামিন্স। মুগ্ধ অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অলরাউন্ডার শেন ওয়াটসন। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
এ বছর বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। ওয়ান ডে বিশ্বকাপও জিতল। প্যাট কামিন্সের নেতৃত্বেই। বিশ্বকাপ ফাইনালে কামিন্সের নানা সিদ্ধান্ত, নেতৃত্বের দক্ষতা নিয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ ওয়াটসন। বিশ্বকাপে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ তথা ধারাভাষ্যকার হিসেবে ছিলেন। আমেদাবাদে দলকে ষষ্ঠ বার চ্যাম্পিয়ন হতে দেখলেন। কামিন্সের হাতে কাপ উঠল। ফাইনালে তাঁর নেওয়া প্রতিটা সিদ্ধান্তই কাজে লেগেছে। ফাইনালের মতো হাইভোল্টেজ ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং নেওয়ায় অনেকেই অবাক হয়েছিলেন। সেই সিদ্ধান্তই সঠিক প্রমাণিত হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার দু-বারের বিশ্বজয়ী দলের সদস্য শেন ওয়াটসন। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ কিংবা উল্লাস তাঁর কাছে অজানা নয়। তবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়ামে, লক্ষাধিক দর্শকের সামনে জয়টা যেন বাড়তি তৃপ্তির। এর কৃতিত্ব দিতেই হবে অজি ক্যাপ্টেন কামিন্সকে। শেন ওয়াটসন বলছেন, ‘সমস্ত কিছুই কামিন্সের বিরুদ্ধে ছিল। তারপরও ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ জয়। ও সবকিছু দারুণ ভাবে সামলেছে। ফাইনালে ও যা সিদ্ধান্ত দিয়েছে, যেমন পরিকল্পনা গড়েছে, সবটাই সঠিক হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
জোড়া হার দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার। তার আগে ভারতের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজে হার। এখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো সহজ ছিল না। ক্যাপ্টেন কামিন্সের নেতৃত্বে সেটাই করে দেখিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।