কলকাতা: মিনি অকশনের আগেই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর নিজেদের পরিকল্পনা পরিষ্কার করে দিয়েছিল। ব্যাটিং নিয়ে খুব বেশি চিন্তার জায়গা ছিল না। মিডল অর্ডার শক্তি বাড়ালেই হত। আরসিবির মূল চিন্তা ছিল বোলিং। প্রতি মরসুমেই শক্তিশালী দল গড়ে আরসিবি। এখনও অবধি ট্রফি আসেনি। বোলিংয়ের সেই গ্যাপ পূরণই লক্ষ্য ছিল। মহম্মদ সিরাজের সঙ্গে জুটি গড়তে পারবেন, এমন পেসার চেয়েছিল আরসিবি। ক্রিকেট ডিরেক্টর মো বোবাত সেই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিল। টার্গেট অনেকটাই হয়তো পূরণ হয়েছে। তারপরও গ্যাপ থাকছে আরসিবিতে। আর কী প্রয়োজন ছিল? বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের পেসার নেওয়ার যে পরিকল্পনা ছিল, তাতে একটি মজার মুহূর্তও ধরা পড়েছে। গত মরসুমে আরসিবিতে ছিলেন অজি পেসার জশ হ্যাজলউড। তাঁকে রিটেন করেনি আরসিবি। তার অন্যতম কারণ, গত সংস্করণে চোটের জন্য হাতে গোনা ম্যাচে পাওয়া গিয়েছিল হ্যাজলউডকে। এ মরসুমেও টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে পাওয়া যাবে না। হ্যাজলউডের নাম নিলামে ডাকা হতেই আরসিবির প্রতিনিধি হাতজোড় করেন! যেন বলতে চাইছিলেন, জশকে নেওয়ার আর ‘জোশ’ নেই!
অকশনে আরসিবি তিন বিদেশি পেসার নিয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের আলজারি জোসেফকে ১১.৫ কোটিতে! দামটা বেশি মনে হলেও আরসিবি ভরসা রাখছে এই তরুণের ওপর। তেমনই কেকেআরের ছেড়ে দেওয়া লকি ফার্গুসন এবং গত সংস্করণে দল না পাওয়া টম কারানকে বেস প্রাইসে নিয়েছে আরসিবি। সঙ্গে ভারতীয় পেসার যশ দয়ালকেও। ট্রেডিংয়ে ক্যামেরন গ্রিনকে নিয়েছিল আরসিবি। সুতরাং, এই দিক থেকে বলা যায় টার্গেট পূরণ হয়েছে। একটা বিষয় বোলিংয়ে থেকেই যাচ্ছে।
গত সংস্করণে আরসিবির স্কোয়াডে ছিলেন শ্রীলঙ্কার লেগ স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারঙ্গা। তাঁর ব্যাটিংয়ের হাতও ভালো। সে ভাবে নজর কাড়তে পারেননি। এ বার তাঁকে রিটেন করেনি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। নিলামে সেই মানের কোনও স্পিনার নিতে পারেনি আরসিবি। সেটাই হয়তো তাঁদের বড় গ্যাপ হয়ে উঠতে পারে। তবে বোলিং আক্রমণ যদি ভালো পারফর্ম করে, ওয়ানিন্দুর অভাব পুরোপুরি ঢাকা পড়ে যাবে। ট্রফি আসবে কিনা, সেই গ্যারান্টি দেওয়া যায় না।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর যাঁদের রিটেন করেছিল- আকাশ দীপ, অনুজ রাওয়াত, দীনেশ কার্তিক, ফাফ ডুপ্লেসি, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, হিমাংশু শর্মা, করণ শর্মা, মহিপাল লোমরোর, মনোজ ভান্ডাগে, মায়াঙ্ক ডাগর (ট্রেডিংয়ে নেওয়া), মহম্মদ সিরাজ, রাজন কুমার, রজত পাতিদার, রিস টপলি, সূয়াশ প্রভুদেশাই, বিরাট কোহলি, বিজয়কুমার বিশাখ, উইল জ্য়াকস, ক্যামেরন গ্রিন (ট্রেডিংয়ে নেওয়া)
মিনি অকশনে যাঁদের নেওয়া হল- আলজারি জোসেফ (১১.৫ কোটি টাকা), যশ দয়াল (৫ কোটি টাকা), লকি ফার্গুসন (২ কোটি টাকা), টম কারান (১.৫ কোটি টাকা), স্বপ্নিল সিং (২০ লক্ষ টাকা), সৌরভ চৌহান (২০ লক্ষ টাকা)