বেঙ্গালুরু: এশিয়া কাপের (Asia Cup 2023) জন্য ১৭ সদস্যের দল বেছে নেওয়ার সুযোগ ছিল। ভারতীয় বোর্ডের নির্বাচন কমিটি যেন কিছুটা স্বস্তিতে ছিল। ১৭ সদস্যের এই দলের সঙ্গে স্ট্যান্ডবাই কিপার হিসেবে রয়েছেন সঞ্জু স্যামসন। সেই অর্থে বলা যায়, এই ১৮ জনই বিশ্বকাপ খেলার দৌড়ে রয়েছেন। এখানেই একটা ‘কিন্তু’ আসছে। বিশ্বকাপের স্কোয়াডে রাখা যাবে ১৫জন ক্রিকেটারকে। কোনও তিনজনকে বাদ পড়তেই হবে। তাঁরা কারা হবেন, সেটাও প্রশ্ন। ৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিশ্বকাপের (World Cup 2023) স্কোয়াড জমা দিতে হবে। তার আগে এশিয়া কাপে দুটি ম্যাচ খেলছে ভারত। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এশিয়া কাপ অভিযান শুরু করবেন রোহিতরা। এরপর নেপাল। এই দুই ম্যাচের ভিত্তিতেই তিনজন বাদ পড়বেন! এমনও হতে পারে, ১৫ জন ইতিমধ্যেই বেছে রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি যাই হোক, রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) একটা বিষয় পরিষ্কার করে দিচ্ছেন-যোগ্যতার নিরিখেই ১৫ সদস্যের স্কোয়াড বেছে নেওয়া হবে। বিস্তারিত জেনে TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
বেঙ্গালুরুতে শিবির শেষে শ্রীলঙ্কা রওনা হবে ভারতীয় দল। এশিয়া কাপে ভারতের প্রথম ম্যাচ ২ সেপ্টেম্বর। তারপরই অধিনায়ক রোহিতের বড় পরীক্ষা। ২০০৭ সালেই ভারতীয় শিবিরে প্রবেশ রোহিত শর্মার। ধোনির নেতৃত্বে ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও খেলেছেন। কিন্তু ২০১১ সালে ওয়ান ডে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে জায়গা হয়নি। তাঁর মতোই পরিস্থিতি হতে চলেছে কয়েকজন ক্রিকেটারের ক্ষেত্রে। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে নানা বিষয়েই বলেছেন রোহিত। টিম নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, ‘সেরা কম্বিনেশন বেছে নিতে গেলে কয়েকজনকে বাদ পড়তেই হবে। রাহুল ভাই এবং আমিও অনেকের সঙ্গে কথা বলেছি। কেন তাদের স্কোয়াডে রাখা যায়নি, ব্যাখ্যা করেছি তাদের। প্রত্যেকবারই দল বাছাইয়ের পর যারা বাদ পড়ে কিংবা একাদশে জায়গা পায় না, তাদের প্রত্যেকের সঙ্গে আলাদা কথা বলার চেষ্টা করেছি। সত্যি বলতে, কিছু ক্ষেত্রে নিজেকেও ওদের জায়গায় রেখে দেখি।’
রোহিতের মুখে সেই ২০১১ সালের প্রসঙ্গ। বলছেন, ‘আমি যখন ২০১১ সালে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে জায়গা পাইনি, খুবই কষ্টের মুহূর্ত ছিল। নিজের ওপর থেকে ভরসা উঠে যাচ্ছিল। বারবার নিজেকে প্রশ্ন করেছি, কেন আমি বিশ্বকাপের টিমে জায়গা পেলাম না?’ কিছু ক্ষেত্রে তাঁর কিংবা কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের যে ভুল হয়েছে, আগামীতেও হতে পারে, স্বীকার করে নিলেন ভারতের ক্যাপ্টেন। ‘আমি, কোচ, নির্বাচকরা সব দিক বিবেচনা করেই দল বেছে নিই। পরিস্থিতি, প্রতিপক্ষ, পিচ, কম্বিনেশন, নিজেদের শক্তি-দুর্বলতা সবই ভাবতে হয়। আমরাও মানুষ। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদেরও ভুল হতে পারে। একটা বিষয় বলতে পারি, টিম সিলেকশন এমন নয় যে, আমার ওকে পছন্দ বলে টিমে থাকবে, কাউকে পছন্দ নয় বলে টিমে থাকবে না। ব্যক্তিগত পছন্দের ওপর নেতৃত্ব নির্ভর করে না। কেউ যদি বাদ পড়ে, তার নেপথ্যে কোনও কারণ থাকবেই।’
মহেন্দ্র সিং ধোনিও এমন পরিস্থিতিতে পড়েছিলেন। ঘরের মাঠে ২০১১ সালে বিশ্বকাপের স্কোয়াড প্রসঙ্গে পরবর্তীতে জানিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন কুল। দল থেকে বাদ পড়ে রোহিতের কী পরিস্থিতি ছিল, কেন রোহিতকে বাদ দেওয়া হয়েছিল, পীযুষ চাওলা কেন সুযোগ পেয়েছিলেন, সবটাই পরিষ্কার করেছিলেন ধোনি। ঠিক একইরকম কঠিন পরিস্থিতিতে রোহিতও। ধোনির সিদ্ধান্ত শেষ অবধি সঠিক প্রমাণ হয়েছিল। রোহিতের ওপর সেই চাপও থাকবে।