কলকাতা : শুধুমাত্র ভারত-পাকিস্তানের (India vs Pakistan) ক্রিকেট অনুরাগীরাই নন। ক্রিকেট বিশ্বই প্রহর গুণছে। ‘দ্য গ্রেটেস্ট রাইভালরি।’ এক সপ্তাহের ব্যবধানে ফের একবার মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান। এ বারের এশিয়া কাপে (Asia Cup 2022) প্রথম সাক্ষাতে ৫ উইকেটে জিতেছে ভারত। আর কিছুক্ষণ পরই দুবাই স্টেডিয়ামে মুখোমুখি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশ। গত ম্যাচে হংকংয়ের বিরুদ্ধে বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছেন ভারতীয় ব্য়াটার সূর্যকুমার যাদব। শুধু তাই নয়, তাঁর অভিষেকের পর থেকে আন্তর্জাতিক টি ২০ তে ভারতীয়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রান সূর্যকুমার যাদবেরই (Suryakumar Yadav)। পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও তাঁর ব্যাটে ঝড় ওঠার প্রতিক্ষা। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ব্যাট হাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া এবং রবীন্দ্র জাডেজা। দ্বিতীয় জন এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে গিয়েছেন। জাডেজার হাঁটুর চোট এতটাই গুরুতর, টি ২০ বিশ্বকাপেও পাওয়া যাবে না তাঁকে। বিরাট কোহলি গত দুই ম্যাচেই রান পেয়েছেন। সুপার ফোরে প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয়ের ধারা অব্যহত রাখতে মরিয়া ভারত। বাড়তি নজর থাকবে সূর্যর ব্যাটে।
মিস্টার ৩৬০ ডিগ্রি বলতে প্রথমেই মনে আসে এবি ডিভিলিয়ার্সের কথা। নতুন ‘মিস্টার ৩৬০ ডিগ্রি’ বলা হচ্ছে সূর্যকুমার যাদবকে। মাঠের সবদিকেই শট খেলতে পারেন স্কাই। ব়্যাম্প শট, স্কুপ, রিভার্স সুইপ সব শটেই সাবলীল সূর্য। এতটা চাপমুক্ত কী ভাবে খেলতে পারেন? পাকিস্তান ম্যাচের আগে ভয়ডরহীন ক্রিকেটে নজরকাড়া সূর্য বলেন, ‘ছেলে বেলায় ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে প্রচুর শুনেছি। সকলেই বলত, ক্রিকেটের সব বড় ম্যাচ। এখনও বলে। মাঠে নামার পর মাথায় এটাই ঘোরে, এটা আরও একটা ম্যাচ। অন্য ম্যাচের জন্য প্রস্তুতি নিই, সেই একই রকম প্রস্তুতি ম্যাচের জন্যও। মাঠে নেমে সেটারই বাস্তবায়নের চেষ্টা করি। মাঠের বাইরের চিত্রটা আলাদা। প্রত্যাশার চাপ থাকে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা কিংবা এসব নিয়ে ভাবি না। মানসিকভাবে নিজেকে শান্ত রেখে, স্বাভাবিক খেলার চেষ্টা করি।’
শুধুমাত্র ক্রিকেটীয় প্রস্তুতিই নয়। মানসিকভাবেও ভালো জায়গায় থাকা জরুরি বলে মনে করেন স্কাই। প্রস্তুতি প্রসঙ্গে আরও বলেন, ‘প্রস্তুতির ক্ষেত্রেও সবসময় সেরাটা চেষ্টা করি। গত তিন-চার বছর একটা কাজ নিয়মিত করি, সুযোগ পেলেই নিজের ব্যাটিংয়ের ফুটেজ বারবার দেখতে বসি। অন্য় দলের চেয়ে কয়েক ধাপ এগিয়ে থাকাই লক্ষ্য। প্রস্তুতির দিক থেকে সবসময়ই কিছুটা হলেও এগিয়ে থাকি। এখনও অবধি এর সাফল্যও পেয়েছি। আগামীতেও এই পদ্ধতিই অনুসরণ করব।’ তাঁর শটের বৈচিত্র নজর কাড়ার মতোই। সেই প্রসঙ্গে যোগ করলেন, ‘স্পিনারদের বিরুদ্ধে সুইপ খেলতে ভালো লাগে। তেমনই পেসারদের বিরুদ্ধেও এই শট খেলি। যখনই প্রয়োজন মনে হয়, পরিস্থিতি সঙ্গ দিলে, মাঠের যে দিকে খুশি সুইপ খেলি। রেড বল ক্রিকেট হোক বা সাদা বল, একই মানসিকতা ধরে রাখার চেষ্টা করি।’