নয়াদিল্লি: খারাপ সময়। অতি প্রচলিত একটা কথা। প্রত্য়েকের জীবনেই আসে। পেশাদার কেরিয়ারেও। সে সময় টিকে থাকা এবং ঘুরে দাঁড়ানোর পথ বের করাই আসল। ভারতের টেস্ট দলের ওপেনার লোকেশ রাহুলের ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় ধরেই এমনটা চলছে। ধারাবাহিকতার অভাবে টি-টোয়েন্টি দল থেকে বাদ পড়েছেন। ওয়ান ডে-তেও ওপেনার থেকে খেলতে হচ্ছে মিডল অর্ডারে। টেস্টেও গত কয়েক বছর ধরে তাঁর ব্য়াটিং গড় মাত্র ৩০! বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতেও রানের খরা। উন্নতির কোনও লক্ষণ নেই। প্রথম দু-ম্য়াচে ব্য়র্থতার জেরে রাহুলকে বাদ দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন অনেক প্রাক্তন ক্রিকেটারই। টিম ম্যানেজমেন্ট অবশ্য় ভরসা রাখছেন রাহুলের উপর। ইন্দোরে সিরিজের তৃতীয় টেস্ট শুরু হচ্ছে আগামী ১ মার্চ থেকে। রাহুল ফর্মে ফিরবেন কী না ভবিষ্যৎ বলবে। নিজের খারাপ সময়ে কী করতেন, সেই ঘটনা জানালেন দীনেশ কার্তিক। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
দীনেশ কার্তিকের উত্থানও ভারতীয় ক্রিকেটে অন্যতম সেরা উদাহরণ। ২০১৯ সালের ওয়ান ডে বিশ্বকাপের পরই বাতিলের খাতায় ফেলা হয়েছিল। ধারাভাষ্য়কার হিসেবেও কাজ করেছেন। সে সময় তাঁর নামের পাশে ‘প্রাক্তন’ ক্রিকেটার শব্দটা জুড়ে গিয়েছিল। যদিও ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে অনবদ্য় পারফরম্য়ান্সের জেরে ফের জাতীয় দলের প্রত্য়াবর্তন করেছিলেন দীনেশ কার্তিক। নিজের কেরিয়ারের উদাহরণ টেনে দীর্ঘদিনের সতীর্থ রাহুলকেও নানা পরামর্শ দিচ্ছেন কার্তিক। খারাপ সময়ে, সোশ্য়াল মিডিয়ায় দুঃখ প্রকাশ না করে বাথরুমে বসে একান্তে চোখের জল ফেলতেন, এমনটাও জানান কার্তিক।
অতীতে চোটের কারণে অনেক টেস্ট ম্যাচেই খেলতে পারেননি রাহুল। তবে ব্য়াট হাতে এমন পরিস্থিতি। সব ফরম্য়াটেই ধারাবাহিক ব্য়র্থতা। সাদা বলের ক্রিকেটে সহ-অধিনায়কত্বও হারিয়েছেন। টেস্টে গত ১০ ইনিংসে রাহুলের রান যথাক্রমে ৮, ১২, ১০, ২২, ২৩, ১০, ২, ২০, ১৭ এবং ১। ইন্দোরে স্কোয়াডে থাকলেও একাদশে জায়গা হবে কী না, ধোঁয়াশা রয়েছে। রাহুল যদি বাদও পড়েন অবাক হওয়ার নেই। দীর্ঘদিনের সতীর্থ দীনেশ কার্তিক বলছেন, ‘রাহুল নিজেও জানে, ও যদি পরের ম্যাচে বাদ পড়ে, তার কারণ কী। একটা খারাপ ইনিংসের জন্য় বাদ পড়বে তা কিন্তু নয়। কোনও সন্দেহ নেই ও ক্লাস প্লেয়ার। এই মুহূর্তে ওর ব্য়র্থতার কারণ টেকনিক নয়। সবটাই হচ্ছে, এত কিছু শুনছে তার জন্য়ও। ওর হয়তো ব্রেক নেওয়া উচিত ক্রিকেট থেকে। বাকি দুই ম্য়াচে বিশ্রাম নিয়ে ওয়ান ডে-তে তরতাজা হয়ে ফিরুক।’