নয়াদিল্লি: ভারতীয় ক্রিকেট বিসিসিআই (BCCI) বনাম বিরাট কোহলি (Virat Kohli) ইস্যু নিয়ে এখনও চর্চা চলছে। ভারতের সদ্য প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট সম্প্রতি বলেছেন, কোনও টিমে কাউকে যদি নেতা হতে হয়, ক্যাপ্টেন না হলেও চলবে। ব্যাটার কোহলি ক্রিকেট কেরিয়ারের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছেন। তিন ফর্ম্যাটের ক্যাপ্টেন আর নন বিরাট। নেপথ্য বোর্ডের সঙ্গে তাঁর ধুন্ধুমার সংঘাত। বহুবার এমনটা বলা হয়েছে। এই নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্নও। দেশ বিদেশের ক্রিকেটাররা এই বিষয়ে বিভিন্ন সময় নিজেদের মতামত জানিয়েছেন। বিসিসিআই ও বিরাটের সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir)। বোর্ড ও কোহলির দ্বন্দ্বতে টিআরপির সঙ্গে উল্লেখ করার পাশাপাশি গৌতম বলেন, এই বিষয়টা কিন্তু অভ্যন্তরীনভাবে মিটিয়ে নেওয়া যেত।
টাইমস নাওকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গৌতি বলেন, “আমি মনে করি এটা বন্ধ দরজার পিছনেও এই বিষয়টা নিয়ে সমধান করা যেতে পারে। এটা একটা অন্তর্বর্তী দ্বন্দ্ব। তবে এটা অনেক চ্যানেলের টিআরপির জন্য যথেষ্ট ভালো বিষয় ছিল। এটা ঠিক আছে। কিন্তু আপনি যদি এটা গভীরতায় গিয়ে থেকে দেখেন, তা হলে দেখবেন এটা সহজেই মেটানো যেত, বড় ব্যাপার নয়।”
টি-২০ ক্রিকেটের ক্যাপ্টেন্সি স্বেচ্ছায় ছাড়লেও কোহলিকে ওয়ান ডে ক্যাপ্টেন্সি থেকে সরিয়ে দেয় বোর্ড। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে, টেস্ট সিরিজ শেষ হওয়ার পর নিজের ইচ্ছেতে টেস্ট দলের অধিনায়কত্বও ছেড়ে দেন কোহলি। যা নিয়ে ক্রিকেটমহল থেকে দুই ধরণের মতামত উঠে এসেছে। কেউ কেউ বলছেন বিরাট পুরোপুরি ব্যাটিংয়ে আরও ফোকাসড হওয়ার জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ভালো করেছেন। কেউ কেউ আবার বলছেন, টেস্টে এখনও বিরাটের ক্যাপ্টেন্সি চালিয়ে যাওয়া উচিত ছিল।
এ ব্যাপারে গম্ভীর বলেন, “সত্যি বলতে কী, আমি এর মধ্যে এমন কোনও বিতর্ক দেখতে পাচ্ছি না। যেটাকে তৈরি করা হয়েছে। অধিনায়কত্বের কথা বললে, আমি মনে করি বিরাটের লাল বলের ক্যাপ্টেন্সি চালিয়ে যাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু সাদা বলের অধিনায়কত্বের কথা বললে, এক বার ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, ওকে ওয়ান ডে-র ক্যাপ্টেন্সিও ছেড়ে দিতে হতই। বিসিসিআই এবং নির্বাচকরা সাদা বলের দৃষ্টিকোণ থেকে কিন্তু ঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে টেস্ট অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানো বিরাটের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত ছিল। যা ওর চালিয়ে যাওয়া উচিত ছিল।”