দুবাই: বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলাগুলোর বন্ধনীতে ঢুকতে হলে অলিম্পিকে (Olympics) জায়গা করে নিতে হবে। শুধু তাই নয়, অলিম্পিকের দরজা যদি খুলে যায়, তা হলে সরকারি অনুদান পেতেও অসুবিধা হবে না। যে সব দেশ নতুন সদস্য, তাদের পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য সরকারি অনুদান খুব প্রয়োজনীয়। এই লক্ষ্য সামনে রেখেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (ICC) মিশন অলিম্পিক নিয়ে নেমেছে। সেই সঙ্গে এটাও পরিষ্কার করে দিতে চাইছে, অলিম্পিকে জায়গা পাওয়ার অর্থ এই নয়, আর্থিক ভাবে লাভবান হতে চাইছে আইসিসি। ২০২৮ সালের লস অ্যাঞ্জেলিস (Los Angeles Olympics 2028) অলিম্পিকে ক্রিকেট যাতে জায়গা পায়, তার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে আইসিসি। সেই স্বপ্নপূরণ হবে কিনা, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে ওয়াকিবহাল মহলের। তবে, আইসিসির সিইও জিওফ অ্যালার্ডাইস এক সাক্ষাৎকারে এই লক্ষ্যই তুলে ধরেছেন।
একটি রেডিওকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অ্যালার্ডাইস বলেছেন, ‘আইসিসির অধিকাংশ সদস্য অলিম্পিকের আসরে ক্রিকেটকে দেখতে চাইছে। ক্রিকেট যদি সেই সম্মান পায়, তা হলে ওই সব দেশের সরকারি অনুদান পেতে সুবিধা হবে। অলিম্পিক খেলা হিসেবে গণ্য হলে আখেরে ক্রিকেটেরই লাভ হবে। আর্থিক ভাবে লাভবান হওয়ার ভাবনা আমাদের নেই। বিশ্বের জনপ্রিয় খেলাগুলোর দিক থেকে দেখলে ক্রিকেট সেই জায়গায় নেই। আর তাই আমরা খেলার বাজারে ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছি। আইসিসির ১০৪ সদস্য দেশ নানা সরকারি সুযোগ সুবিধা পেতে চাইছে এর মধ্যে দিয়ে।’
উপমহাদেশ ছাড়া ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার বাইরে ক্রিকেটের তেমন জনপ্রিয়তা নেই। বিশ্বের অনেক দেশই ধীরে ধীরে ক্রিকেটে পা বাড়াচ্ছে। সেই দেশগুলোর মতো যারা এখনও সদস্যপদ নেয়নি, এমন দেশগুলোকে ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে হলে কিন্তু অলিম্পিকের আসরে ঢুকতে হবে। আর সেই কারণে ২০২৮ সালের লস অ্যাঞ্জেলিস অলিম্পিকের দরজা খুলে ফেলতে চাইছে আইসিসি। এর আগে এশিয়ান গেমসেও ক্রিকেট হয়েছে। এ বার বার্মিংহ্যাম কমনওয়েলথ গেমসে জায়গা পেয়েছে মেয়েদের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট। অনেকেই জানেন না, ১৯০০ সালের অলিম্পিকে ক্রিকেট জায়গা পেয়েছিল। দুটো মাত্র দেশ খেলেছিল তাতে, ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স। ১২৮ বছর পর কি অলিম্পিক আবার ফিরিয়ে নেবে ক্রিকেটকে? এই প্রশ্নের উত্তর মেলানো বেশ কঠিন।
আরও পড়ুন: Rahul Dravid: শাস্ত্রীর সঙ্গে দ্রাবিড়ের তুলনায় যেতে নারাজ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়