ব্লুমফন্টেন: ম্যাচটা সব মিলিয়ে ৭০ ওভারের মধ্যেই শেষ হয়ে যেতে পারত। যদিও নবম উইকেটে ৩৯ রানের একটা পার্টনারশিপ আয়ার্ল্যান্ডকে ‘নৈতিক’ জয় দিল। বাংলাদেশকে হারিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করেছিল ভারত। দ্বিতীয় ম্যাচে আয়ার্ল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাহাড়প্রমাণ জয়। মুশির খানের বিধ্বংসী সেঞ্চুরির ইনিংসে আয়ার্ল্যান্ডকে ৩০২ রানের বিশাল লক্ষ্য দিয়েছিল ভারত। শেষ অবধি আয়ার্ল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২০১ রানের জয়ে সুপার সিক্সে ভারতের যুব দল। বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ভারত। মুশির খানের ১১৮ রানের ইনিংস ছাড়াও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে ব্যাটিংয়ে। ক্যাপ্টেন উদয় সাহারণ ৭৫ রান করেন। কিপার ব্যাটার আরাবল্লী অবনিশ ১৩ বলে ২২ এবং সচিন দাস ৯ বলে ২১ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন। ওপেনার আদর্শ সিং এই ম্যাচে ব্যর্থ হলেও বড় রান তুলতে সমস্যা হয়নি ভারতের। ব্লুমফন্টেনের মংগং ওভালে ভারতের করা ৩০১-৭ এই ভেনুর সর্বাধিক স্কোর।
রান তাড়ায় শুরু থেকেই বেকায়দায় আয়ার্ল্য়ান্ড। এই ম্যাচে বিশ্রাম দেওয়া হয় ডান হাতি পেসার রাজ লিম্বানিকে। পরিবর্তে খেলেন ধনুষ গৌড়া। গত ম্যাচে ব্যর্থ বাঁ হাতি পেসার নমন তিওয়ারি এ দিন ভারতের জয়ের অর্ধেক রাস্তা তৈরি করেন। দুর্ভাগ্যজনক হলেও পাঁচ উইকেট এল না তাঁর দখলে। দশ ওভারে ৫৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন নমন। গত ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও বল হাতে অনবদ্য বাঁ হাতি স্পিনার সৌম্য পান্ডে। ৮ ওভারে ১৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। মাত্র ৪৫ রানেই ৮ উইকেট হারায় আয়ার্ল্যান্ড।
ড্যানিয়েল ফর্কিন এবং অলিভার রাইলির জুটি ভাঙেন অফস্পিনার মুরুগান অভিষেক। অপেক্ষা বাড়ে আর একটা উইকেটের। ১৪.১ ওভারে ৮ উইকেট নিয়ে জয়ের অপেক্ষায় ছিল ভারত। ২৯তম ওভারে ফের আনা হয় সৌম্য পান্ডেকে। ফর্কিন বিট হলেও উইকেট দেননি। ক্যাপ্টেন উদয় সাহারণ নিজেই বোলিংয়ে আসেন। ৪৫-৮ থেকে একশো ছোঁয় আয়ার্ল্যান্ড। অবশেষে সেই ওভারের চতুর্থ বলেই ক্যাপ্টেন উদয় ফিন লুটনকে বোল্ড করে আয়ার্ল্যান্ড ইনিংস শেষ করেন। ২০১ রানের বিশাল জয় ভারতের।