IND vs AUS: শারজায় স্বপ্নভঙ্গ! ভারতের সেমিফাইনাল পাকিস্তানের হাতে
ICC Women's T20 Cup 2024: জটিল অঙ্কের সামনে হরমনপ্রীত কৌরের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল। এই গ্রুপ থেকে অস্ট্রেলিয়ার সেমিফাইনাল নিশ্চিত। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টানা ১৫ ম্যাচে জয় অস্ট্রেলিয়ার। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারের পর ভারতের ভাগ্য এখন পাকিস্তানের হাতে।
সেমিফাইনালে যেতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে জিততেই হত ভারতকে। জিতলেও যে সেমিফাইনাল নিশ্চিত ছিল তা নয়। তবে ৯০ শতাংশ সুযোগ থাকত। কিন্তু গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৯ রানে হার। টুর্নামেন্ট থেকে বিদায়ের পথে ভারত। আপাতত জটিল অঙ্কের সামনে হরমনপ্রীত কৌরের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল। এই গ্রুপ থেকে অস্ট্রেলিয়ার সেমিফাইনাল নিশ্চিত। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টানা ১৫ ম্যাচে জয় অস্ট্রেলিয়ার। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারের পর ভারতের ভাগ্য এখন পাকিস্তানের হাতে।
স্নায়ুর চাপ! আর এটাই ভারতের বাধা হয়ে দাঁড়াল। চোটে জর্জরিত অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অ্যাডভান্টেজ ছিল ভারত। আবার পরিবেশ পরিস্থিতির দিক থেকে পিছিয়েও। কারণ, গ্রুপের প্রথম তিন ম্যাচ দুবাইতে খেলেছে ভারত। এই ম্যাচটি খেলতে হয়েছে শারজায়। এটা যদিও অজুহাত হতে পারে না। ম্যাচের শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছিল ভারত। একাদশ ঘোষণা করার পর পরিবর্তন করতে হয়। একাদশে ছিলেন লেগ স্পিনার আশা শোভানা। ওয়ার্ম আপে চোট পান তিনি। শেষ মুহূর্তে রাধা যাদবকে খেলানোর অনুরোধ করে ভারত। অজি অধিনায়কের কোনও আপত্তি না থাকায় এই পরিবর্তন সিলমোহর দেয় আইসিসিও।
টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে জোড়া উইকেট নিয়ে ভারতের শুরুটা দুর্দান্ত করেন রেনুকা সিং ঠাকুর। কিন্তু এরপরই বড় জুটি অস্ট্রেলিয়ার। উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগে খেলা গ্রেস হ্যারিসের সঙ্গে জুটি গড়েন তাহিলা ম্যাকগ্রা। গ্রেস হ্যারিস সর্বাধিক ৪০ রান করেন। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে রেনুকা এবং দীপ্তি দুটি করে উইকেট নেন। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৫১ রান অস্ট্রেলিয়ার।
যতই বিশ্বকাপের মঞ্চ হোক। এই টার্গেটকে বিশাল বলা যায় না। অন্তত ভারতীয় ব্যাটিং লাইন আপের শক্তি এবং অভিজ্ঞতার দিক থেকে তো নয়ই। কিন্তু অজি স্পিনারের দুটি ডেলিভারিই যেন ম্যাচের রং বদলে দেয়। শেফালি ভার্মাকে ফেরান অ্যাশলে গার্ডনার, স্মৃতি মান্ধানাকে লেগ বিফোর করেন সোফি মলিনিউ। শেফালি তবু ১৩ বলে ২০ রান করেন। স্মৃতি ১২ বলে ৬। টি-টোয়েন্টিতে ডট বল সবসময়ই চাপের। ক্যাপ্টেন হরমনপ্রীত কৌর একদিকে থাকলেও উল্টোদিক থেকে উইকেট পড়তে থাকে। এর মধ্যে তিনটে রান আউট। শেষ ওভারে ১৪ রান প্রয়োজন ছিল ভারতের। সেটিও তুলতে ব্যর্থ। ১১০-৩ স্কোর থেকে ২০ ওভারে ১৪২-৯। অর্থাৎ মাত্র ৩২ রানে ছয় উইকেট! হরমনপ্রীত ৫৪ রান করলেও নিয়েছেন ৪৭ বল। ব্যক্তিগত মাইলফলক হলেও টিমকে জেতাতে ব্যর্থ সেই ইনিংস।
সেমিফাইনালের দৌড় থেকে ভারত ছিটকে গিয়েছে বললেও ভুল হয় না। তবে ক্রিকেট অঘটনের খেলা। আর এই অঘটনেরই প্রত্যাশায় ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীরা। নেট রান রেটে নিউজিল্যান্ডের চেয়ে এগিয়ে থাকতে ভারতকে অন্তত ১৩৯ রান করতেই হত। ভারত সেটা করেছে। কাল গ্রুপ এ-র শেষ ম্যাচে মুখোমুখি পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। এই ম্যাচে নিউজিল্যান্ড জিতলে ৬ পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনালে যাবে। আর যদি পাকিস্তান জেতে সেক্ষেত্রে ভারত-পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড তিন দলেরই পয়েন্ট সমান হবে। পাকিস্তানের নেট রান রেট মাইনাসে থাকায় ভারতের সুযোগ থাকবে। নিউজিল্যান্ড জিতলে আর কোনও অঙ্ক নেই। ভারতের সেমিফাইনাল এখন পাকিস্তানের হাতে।