কলকাতা: প্রথম দল হিসেবে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছিল ভারত। কোনও অঙ্কে নির্ভর করতে হয়নি। টানা সাতটি ম্যাচ জেতার পরই টিম ইন্ডিয়ার সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়েছিল। তাতে অবশ্য আত্মতুষ্টি জায়গা করে নেয়নি। অষ্টম ম্যাচেও জিতেছে ভারত। এ বারের বিশ্বকাপে ভারতই একমাত্র অপরাজিত দল। পাকিস্তান বনাম নিউজিল্যান্ড ম্যাচের পর সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয় দক্ষিণ আফ্রিকারও। তাদের ১২ পয়েন্ট ছিল। নিউজিল্যান্ড গত ম্যাচটি জিতলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে অপেক্ষায় থাকতে হত আরও একটু। নিউজিল্যান্ডের হারে সেদিনই শেষ চার নিশ্চিত হয় প্রোটিয়াদের। এর পর কী হল? পয়েন্ট টেবলের চিত্রটা বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
ওয়াংখেড়ে ওয়ান্ডার! ম্যাক্সওয়েল ম্যাজিক। অনেক কিছুই বলা যায়। অস্ট্রেলিয়া বনাম আফগানিস্তান ম্যাচ নিয়ে আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের বিরুদ্ধে তেইশের বিশ্বকাপের ‘জায়ান্ট কিলার’ আফগানিস্তান কেমন পারফরম্যান্স করে সেদিকেই নজর ছিল। প্রথমে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়াকে ২৯২ রানের বড় টার্গেট দেয় আফগানিস্তান। একের পর এক উইকেট নিয়ে জয়ের সম্ভাবনা বাড়ছিল আফগানদের। ১৯তম ওভারে অস্ট্রেলিয়া সপ্তম উইকেট হারাতেই আফগানিস্তানের জয়ের সম্ভাবনা দেখা যায় ৯৯ শতাংশ। কিন্তু বাকি এক শতাংশকেই ঘুরিয়ে একশো শতাংশ করে দিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
বোর্ডে ২৯২ রানের লক্ষ্য, ৯১ রানে ৭ উইকেট হারানো। দু-বার ম্যাক্সওয়েলের ক্যাচ ফসকায়। একবার লেগ বিফোর হলেও রিভিউতে জীবন পান। সেই গ্লেন ম্যাক্সওয়েলই ১২৮ বলে ২০১ রানের অপরাজিত ইনিংসে রূপকথার জয় এনে দেন অস্ট্রেলিয়াকে। টানা আধডজন জয়ে সেমিফাইনালও নিশ্চিত হয় অজিদের। এমন ইনিংস এক যুগে বা বলা ভালো কয়েক যুগে একবার দেখা যায়।
ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকার পর তৃতীয় দল হিসেবে সেমিফাইনাল নিশ্চিত অস্ট্রেলিয়ার। সেমিফাইনালের জন্য আর একটিই জায়গা খালি। নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তান এবং পাকিস্তান আটটি করে ম্যাচ খেলে ৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে। অর্থাৎ, একটি জায়গার জন্য মূল লড়াই এই তিন দলের। নেট রান রেটে বাকি দু-দলের চেয়ে অনেকটা এগিয়ে নিউজিল্যান্ড। তবে অ্যাডভান্টেজ বলা যায় না।
নিউজিল্যান্ডের পরবর্তী ম্যাচ শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। এই ম্যাচে বড় ব্যবধানে জিতলেও ওয়েটিং লিস্টে থাকতে হবে। আফগানিস্তানের ম্যাচ বাকি দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। আফগানদের নেট রান রেট মাইনাসের ঘরে। ফলে নিউজিল্যান্ড যদি শ্রীলঙ্কাকে হারায়, তাদের নেট রান রেট আরও ভালো হবে। সেই নেট রান রেট ছাপিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। শ্রীলঙ্কা যদি নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে দেয়, সাময়িক লাইফলাইন পেতে পারে আফগানিস্তান। তাতেও নেট রান রেটে তাদের সামনে থাকবে পাকিস্তানও।
তিন দলের মধ্যে তুলনামূলক অ্যাডভান্টেজ পাকিস্তানের। নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তানের পরিস্থিতি দেখে শেষ ম্যাচ খেলতে নামবে পাকিস্তান। অর্থাৎ, নিউজিল্যান্ড এবং আফগানিস্তান দু-দলই যদি নিজেদের পরবর্তী ম্যাচ জেতেও, তাদের নেট রান রেট ছাপিয়ে যেতে কত ব্যবধানে জিততে হবে, সেটা জেনে নামতে পারবে পাকিস্তান। তাদের শেষ ম্যাচ ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ইডেন গার্ডেন্সে। সেই ম্যাচের পরই চতুর্থ সেমিফাইনালিস্ট ঠিক হবে। অঙ্কের বিচারে নেদারল্যান্ডসের সম্ভাবনা থাকলেও তাদের নেট রান রেট এতটাই কম, বাকি দু-ম্যাচ অসম্ভব বড় ব্যবধানে জিতলেও পরিস্থিতি কতটা উন্নতি হবে, সন্দেহ থাকেই।