নয়াদিল্লি : এশিয়ার এক মাত্র অধিনায়ক হিসেবে আইসিসির তিনটি মেজর ট্রফিই জিতেছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি (Mahendra Singh Dhoni)। ২০০৭ সালে প্রথম বার জাতীয় দলের দায়িত্ব পান এমএসডি। অধিনায়ক হিসেবে তাঁর প্রথম টুর্নামেন্ট। তাও আবার উদ্বোধনী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। প্রথম টুর্নামেন্টেই তাক লাগিয়ে দেন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। সেই শুরু। এরপর ২০১১ সালে তাঁর নেতৃত্বেই দ্বিতীয় বার ওয়ান ডে বিশ্বকাপ জেতে ভারত। শেষ বার ভারত আইসিসির কোনও টুর্নামেন্ট জেতে ২০১৩ সালে। ধোনির নেতৃত্বেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতে ভারত। জস বাটলারের (Jos Buttler) মধ্যে ধোনির ছায়া দেখতে পাচ্ছেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল ভন (Michael Vaughan)। কী বলছেন তিনি, তুলে ধরল TV9Bangla।
টি-টোয়েন্টিতে পূর্ণ সময়ের দায়িত্ব পেয়েছেন এ বারই। আর প্রথম টুর্নামেন্টেই চ্যাম্পিয়ন। জস বাটলারকে নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। একটি কলামে ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল ভন লিখেছেন, ‘ইংল্যান্ডের বর্তমান সাদা বলের দলটা একটা নতুন ধারা তৈরি করবে। বিশ্বের বাকি দেশগুলিও বর্তমান ইংল্য়ান্ড দলকে দেখে শিখতে পারে। ইংল্যান্ড কীভাবে পরিকল্পনা করছে, তারা কী করছে,’ এর পরই যোগ করেন, ‘আমি যদি ভারতীয় ক্রিকেটের দায়িত্বে থাকতাম, অতীতের সাফল্য, গর্ব ভুলে ইংল্যান্ড দল থেকে প্রেরণা নিতাম।’ ইংল্যান্ডের দ্য টেলিগ্রাফে কলামে লিখেছেন মাইকেল ভন।
অধিনায়ক জস বাটলারকে প্রশংসায় ভরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি মহেন্দ্র সিং ধোনিকেও কৃতিত্ব দিচ্ছেন মাইকেল ভন। দীর্ঘ সময় সাফল্যের সঙ্গে ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ধোনি। বাটলারের মধ্যে ধোনির মতো সফল অধিনায়ক হওয়ার সমস্ত গুণ রয়েছে বলে মনে করেন মাইকেল ভন। তাঁর মতে, ‘প্রথম বার বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দিল জস। ওর বয়স ৩২। ওর কাছেও কিছুটা সময় এবং সুযোগ রয়েছে নিজের একটা পরম্পরা তৈরি করার। এমএস ধোনি ভারত অধিনায়ক হিসেবে যেটা করেছেন, বাটলারও একই জিনিস করতে পারে। বিশেষত, ও এক ফর্ম্যাটে ফোকাস করছে। ওর মধ্যেও সেই তাগিদ রয়েছে।’
এ বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে বিদায় নিয়েছে ভারত। ইংল্য়ান্ডের কাছে ১০ উইকেটের লজ্জার হার। এ বারই প্রথম নয়। বরং গত কয়েক বছর ধরে আইসিসি টুর্নামেন্টে ভারতের ক্ষেত্রে এমনটাই হয়ে আসছে। ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ফাইনাল, ২০১৯ ওয়ান ডে বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল, উদ্বোধনী টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল। বার বার ট্রফির কাছাকাছি গিয়েও খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে। এর শেষ কোথায়!