আমেদাবাদ: নামটাই বেশ অন্যরকম, রচীন রবীন্দ্র। তবে এটা তাঁর আসল নাম নয়। এই নামের নেপথ্যে রয়েছে অন্য কারণ। শচীন তেন্ডুলকর ও রাহুল দ্রাবিড়ের নাম ধার করে দেওয়া হয়েছে এই নাম। বিশ্বকাপের ওপেনিং ম্যাচে নজর কেড়েছেন রচীন। তারপরই আলোচনায় উঠে এসেছেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের এই বাঁহাতি তরুণ ব্যাটারের দাপটেই জিতেছে নিউজিল্যান্ড। তবে শুধু রচীন নন, ওপেনার ডেভন কনওয়েও দাগ কেটেছেন। ভারতের সঙ্গে যোগ রয়েছে তাঁর। কী সেই যোগ? তুলে ধরল TV9 Bangla।
বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই ছাপ ফেলেছেন ২৩ বছরের তরুণ বাঁহাতি ব্যাটার রবীন্দ্র। জানা গিয়েছে, তাঁর বাবা-মা বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা ছিলেন। কিন্তু বাবা সফটওয়ার সংস্থায় কাজের জন্য চলে যান ওয়েলিংটনে। মা দীপা কৃষ্ণমূর্তি থাকেন ওয়েলিংটনেই। নিউজিল্যান্ডেই জন্ম তাঁর। বড় হয়ে ওঠা সেখানেই। ঠিক যেমন ক্রিকেটে সুযোগ পাওয়ার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে নিউজিল্যান্ডে চলে যান আরও এক কিউয়ি প্লেয়ার ডেভন কনওয়ে। তবে শিকড়ের টানকে সম্মান জানিয়েই রবীন্দ্র জানান, তিনি মনে প্রাণে সম্পূর্ণ কিউয়ি। ম্যাচ পরবর্তী সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “আমি সম্পূর্ণ কিউয়ি। আমি নিউজিল্যান্ডে জন্মেছি, আমার পরিবার ভারতীয়। অবশ্যই আমি আমার রুটকে সম্মান করি, কিন্তু নিজেকে কিউয়ি হিসেবেই মানি।”
কথায়-কথায় সতীর্থ ডেভন কনওয়ের প্রসঙ্গও টানেন এই তরুণ প্লেয়ার। তাঁর কথায়, “আমার সঙ্গে কনওয়েও এক মত হবে। নিউজিল্যান্ডে থাকতে-থাকতে ডেভনও কিউয়ি-ই হয়ে গিয়েছে। তাই দেশের জন্য ম্যাচ জেতার একটা আলাদাই অনুভূতি আছে।” ডেভন কনওয়ে ও রচীন রবীন্দ্রর যুগলবন্দ্বীতেই ওপেনিং ম্যাচে ইংল্যান্ডকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যায় কিউয়িরা। ৬ বলে ১২৩ রান করেন রচীন। ১১টি বাউন্ডারি ও পাঁচটি ছক্কা ছিল তাঁর ঝুলিতে। অন্যদিকে কনওয়ে করেছেন ১২১ বলে ১৫২ রান। দু’জনই শেষমেশ অপরাজিতথাকেন।