শারজা: টি-২০ বিশ্বকাপে (T20 World Cup) একলাফে বুকিদের বাজার দর বাড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল (Pakistan Cricket Team)। বাবর আজম, মহম্মদ রিজওয়ানদের ঘিরে বিশ্বকাপের আগেও সে ভাবে প্রত্যাশা ছিল না। কিন্তু এই পাকিস্তান দল সবাইকে চমকে দিয়েছে। বুমেরাং করে এখন বিশ্বকাপের খেতাব দৌড়ে অন্যতম ফেভারিট হয়ে উঠেছেন বাবর আজমরা। ভারতের বিরুদ্ধে জিতে ২৯ বছরের খরা কাটিয়েছেন অফ্রিদিরা (Shaheen Afridi)। নিউজিল্যান্ডকে (New Zealand) হারিয়ে এ বার সেমিফাইনালের পথে পা বাড়িয়ে রেখেছেন শোয়েব মালিকরা (Shoaib Malik)। কিন্তু এই পাক দলের সাফল্যের রসায়ন কী? অনেকে বলছেন, তারুণ্য আর অভিজ্ঞতার মিশেলে তৈরি হওয়া পাকিস্তান দলই সাফল্য এনে দিচ্ছে। আবাক অনেকে বলছেন, মানসিক ভাবে দলটা অনেক উজ্জীবিত।
প্রত্যেকটা প্র্যাকটিস সেশনে কিট ব্যাগের সঙ্গে দেশের পতাকা বহন করছেন বাবর-রিজওয়ানরা। যা আগে কখনও দেখা যায়নি। এমন দৃশ্যই মনে করিয়ে দিচ্ছে ২৯ বছর আগের এক ঘটনার কথা। ইমরান খানের (Imran Khan) নেতৃত্বে সে বার ৫০ ওভারের ক্রিকেট বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয় পাকিস্তান। প্রথম বার। ১৯৯২ বিশ্বকাপ ফাইনালে দেশের জার্সি পরে টস করতে আসেননি ইমরান। এসেছিলেন একটা সাদা গেঞ্জি পরে। যার মাঝে একটা বাঘের ছবি। ফাইনালে তাঁর দলের প্রত্যেক ক্রিকেটার যাতে বাঘের মতো লড়াই চালায় সেই জন্যই অমন গেঞ্জি পরে টস করতে এসেছিলেন ইমরান। সেই স্বপ্ন সফলও হয়। গুচের ইংল্যান্ডকে ২২ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় পাকিস্তান।
সেই মুহূর্তের কথাই বাবর-রিজওয়ানদের মনে করাচ্ছেন পাকিস্তানের অন্তর্বর্তী কোচ সাকলাইন মুস্তাক। এ বারের বিশ্বকাপ জিততে ঠিক কতটা মরিয়া পাকিস্তান। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার খিদে নিয়েই অনুশীলন করছেন হাফিজ-রউফরা। সাকলাইন বলেন, ‘এই দল গোটা দেশকে প্রতিনিধিত্ব করছে। দেশের প্রত্যেক মানুষকে এক করে দিয়েছে। আর এটাই ক্রিকেটারদের আরও উদ্বুদ্ধ করছে।’