চেন্নাই : প্রথম দুই ম্য়াচে মূলত পেসারদের দাপট দেখা গিয়েছে। সবচেয়ে বেশি ভয়ঙ্কর দেখিয়েছে মিচেল স্টার্ককে। বাঁ-হাতি পেসের বিরুদ্ধে ভারতীয় ব্য়াটারদের দুর্বলতা নতুন নয়। বছরের পর বছর, চিত্রটা বদলায়নি। এই সিরিজে স্টার্ক ভীতিই দেখা গিয়েছে প্রথম দু-ম্য়াচে। সিরিজ নির্ণায়ক তৃতীয় ওডিআই চেন্নাইতে। এখানকার পিচ সাধারণত স্পিন সহায়ক হয়। এ বারও তেমনই হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। তারও প্রশ্ন, ভারতীয় দল কি স্টার্ক ভীতি কাটিয়ে উঠতে পারবে? এ বছর ঘরের মাঠে ওডিআই বিশ্বকাপ। সেরা কম্বিনেশন খুঁজে নেওয়ার পরীক্ষা চালাচ্ছে ভারতীয় শিবির। কিন্তু সেই লক্ষ্যে আদৌ কতটা সফল বলা কঠিন। বিশেষ করে পাওয়ার প্লে-তে ব্য়াটিং অ্যাপ্রোচ। সিরিজ নির্ণায়ক ম্য়াচে কম্বিনেশন কেমন হতে পারে? ভারত-অস্ট্রেলিয়া তৃতীয় ওডিআই প্রিভিউ বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
বিশ্বের সেরা দুই দলের সিরিজ এখনও অবধি লো-স্কোরিং ম্য়াচই হয়েছে। প্রথমে ব্য়াট করে কোনও দলই ২০০-র সীমানা পেরোতে পারেনি। বিশাখাপত্তমনে ভারতীয় ব্য়াটিং বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়। মিচেল স্টার্কের প্রথম স্পেলেই খেই হারায় ভারত। সেখান আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। মাত্র ১১৭ রানেই অলআউট ভারত। জবাবে ১১ ওভারেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছায় অস্ট্রেলিয়া। বল বাকি থাকার নিরিখে ভারতের সবচেয়ে বড় হার। ভারতীয় শিবিরে এই ম্য়াচে বাড়তি নজর থাকবে সূর্যকুমার যাদবের দিকে। গত দু-ম্য়াচেই গোল্ডেন ডাক। গত বছর স্বপ্নের ফর্মে ছিলেন সূর্য। এ বছরও শুরুর দিকে সেই ফর্ম জারি ছিল। কিন্তু গত দুই ম্য়াচেই গোল্ডেন ডাক। তাঁকে আরও একটা সুযোগ দেওয়া হবে নাকি ঈশান কিষাণকে দেখে নেওয়া হবে, এ নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।
ঘরের মাঠে ওডিআই বিশ্বকাপ। কিন্তু প্রস্তুতি কিংবা এই ফরম্য়াটে ম্য়াচের নিরিখে খুব বেশি সময় নেই। চেন্নাইয়ের পর ফের ওডিআই খেলার সুযোগ আসবে অগস্টে। ক্য়ারিবিয়ান সফরে তিন ম্য়াচের ওডিআই সিরিজ রয়েছে। হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড় অবশ্য জানিয়েছেন, বিশ্বকাপের জন্য় প্রাথমিক তালিকা তৈরি। এখন বিভিন্ন কম্বিনেশন পরীক্ষা করা হবে। এই ম্য়াচেও কোনও পরীক্ষা হতেই পারে। রাহুল দ্রাবিড় ইঙ্গিত দিয়েছেন, বিশ্বকাপে ভারত চার পেসারের কম্বিনেশন খেলাবে নাকি তিন স্পিনার, এই পরীক্ষাও হতে পারে। চেন্নাইতে স্পিন সহায়ক পিচে তিন স্পিনারে নামতে পারে ভারতীয় দল। অজি শিবিরেও একটা বদল হতে পারে। শন অ্যাবটের পরিবর্তে বাঁ হাতি স্পিনার অ্যাস্টন অ্যাগারকে খেলানো হতে পারে।