ইন্দোর: প্রথম ইনিংসে ভারতের ভরাডুবি। মাত্র ১০৯ রানেই শেষ হয়ে গিয়েছিল ভারতের ইনিংস। প্রথম দিনের শেষে অ্যাডভান্টেজ ছিল অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় দিনের শুরুতে ঘুরে দাঁড়ানোই লক্ষ্য় ছিল ভারতীয় শিবিরের। যদিও প্রথম ঘণ্টায় উইকেটের জন্য় হা-পিত্য়েস করতে হল ভারতীয় শিবিরকে। আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্য়াটার ক্য়ামেরন গ্রিন ও পিটার হ্য়ান্ডসকম্ব দারুণ শুরু করেন। ম্য়াচের রং বদলানোর জন্য় একটা জুটি ভাঙতেই হত ভারতকে। বেশ কিছু মুহূর্ত তৈরি হলেও সাফল্য় মিলছিল না। ভারতের ডিআরএসও প্রথম দিনই শেষ হয়ে যাওয়ায়, সেই বিকল্পও ছিল না। দিনের প্রথম ঘণ্টা অস্ট্রেলিয়ার। কিন্তু এরপরই যেন বল হাতে ম্য়াজিক রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং উমেশ যাদবের। কত তাড়াতাড়ি ম্যাচের রং বদলে যেতে পারে, আরও এক বার দেখা গেল ইন্দোরে। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
অস্ট্রেলিয়ার লিডের সঙ্গে ভারতের হতাশাও বাড়ছিল। দিনের শুরুতে মহম্মদ সিরাজ, জাডেজা, অক্ষর, অশ্বিনরা মরিয়া চেষ্টা করেন। সাফল্য় আসছিল না কিছুতেই। কিন্তু ২৪ বলের ব্য়বধানেই ম্য়াচের রং পুরোপুরি বদলে গেল। স্থানীয় সময় ১০ টা বেজে ৩৮ মিনিটে অজিদের স্কোর ছিল ১৮৬-৪। কিন্তু অশ্বিন-উমেশ জুটির দাপটে ১১ টা বেজে ৭ মিনিটেই অলআউট অস্ট্রেলিয়া। দিনের প্রথম সাফল্য় রবিচন্দ্রন অশ্বিনের সৌজন্যে। শর্ট লেগে শ্রেয়স আইয়ারের অনবদ্য ক্যাচে ফেরেন পিটার হ্যান্ডসকম্ব।
উমেশ যাদবকে ইন্দোরে খেলানোর নেপথ্য়ে প্রথম কারণ মহম্মদ সামিকে বিশ্রাম দেওয়া। এরপর ওডিআই সিরিজও রয়েছে ভারতের। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেই তিন ম্যাচের সিরিজ খেলবে ভারত। তবে আরও একটি কারণ নিঃসন্দেহে তাঁর রিভার্স সুইংয়ের দক্ষতা। সেটাই কাজে লাগালেন উমেশ। রিভার্স সুইংয়ের প্রথম শিকার ক্যামেরন গ্রিন। নিজের পরের ওভারেই ফের ধাক্কা উমেশের। মিচেল স্টার্ককে দারুণ সেট আপ করেন উমেশ। সেই ওভারের প্রথম ডেলিভারি ০.৫৭ ডিগ্রি সুইং করে। তৃতীয় ডেলিভারিতে একই সুইংয়ে স্টার্কের উইকেট ছিটকে দেন। উমেশ এবং অশ্বিনের যেন সাময়িক প্রতিযোগিতা চলছিল। দু-জনেই এ দিন অস্ট্রেলিয়ার বাকি ৬টি উইকেট ভাগ করে নেন। অজিদের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ১৯৭ রানে। প্রথম ইনিংসে তারা লিড নেয় ৮৮ রানের।