আরও একটা ম্যাচ, অনবদ্য জয়। এ বারের এমার্জিং এশিয়া কাপে ভারতীয় দলের কাছে পরিচিত চিত্র। কলম্বোর প্রেমদাসা স্টেডিয়ামে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারাল ভারত। দুই পেসার হর্ষিত রানা, রাজবর্ধন হাঙ্গারকেকরের বিধ্বংসী বোলিং, ব্যাট হাতে সাইয়ের অপরাজিত সুদর্শন ইনিংস। গ্রুপ সেরা হয়েই সেমিফাইনালে ভারত। এমার্জিং এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিল পাকিস্তান। ভারতের অনবদ্য বোলিং। বিশেষ করে নতুন বলে রাজবর্ধন হাঙ্গারকেকর এবং হর্ষিত রানার পারফরম্যান্স। প্রথম পাঁচ ওভারের মধ্যেই পাকিস্তানের ২ উইকেট নেন রাজবর্ধন। ম্যাচে সব মিলিয়ে তাঁর ঝুলিতে পাঁচ উইকেট। এ ছাড়াও তিন উইকেট নেন মানব সুতার। ৪৮ ওভারে পাকিস্তানের ইনিংস শেষ ২০৫ রানেই।
গ্রুপ পর্বে প্রথম দু-ম্যাচেই রান তাড়া করে জিতেছিল ভারত। প্রথম ম্যাচে আরব আমির শাহিকে ৮ উইকেট এবং নেপালকে ৯ উইকেটে হারিয়েছিল ভারত। এ দিন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৮ উইকেটে জয়। বোর্ডে মাত্র ২০৬ রানের লক্ষ্য। সাই সুদর্শন-অভিষেক শর্মার ওপেনিং জুটিতে যোগ হয় ৫৮ রান। অভিষেক (২০) ফেরার পর সাইয়ের সঙ্গে অনবদ্য জুটি গড়েন নীকীন জোসে। ৯৯ রানে এই জুটি ভাঙে। তখনও ভারতের প্রয়োজন ৪৯ রান। ক্রিজে সাই সুদর্শনের সঙ্গে যোগ দেন অধিনায়ক যশ ধূল। অধিনায়ক ক্রিজে এসেই বিধ্বংসী মেজাজে। মাত্র ১৯ বলে ২১ রান করেন। বাঁ হাতি ওপেনার সাই সুদর্শন ১০৪ রানে অপরাজিত থাকেন।
ম্যাচের সেরা সাই সুদর্শন বলেন, ‘পেসারদের বিরুদ্ধে ব্যাটিংয়ের জন্য দারুণ উইকেট। তেমন সমস্যা হয়নি। স্পিনারদের বিরুদ্ধে খেলা কঠিন ছিল। টিম হিসেবে পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করছি।’ তিন ম্যাচে তিনটি জয়। এ বার নকআউট। পাক বধের পর ভারত অধিনায়ক যশ ধূল বলেন, ‘পরের দিকে পিচ অনেকটা ব্যাটিং সহায়ক ছিল। টপ অর্ডার ম্যাচ সহজ করে দিয়েছিল। দু-প্রান্ত থেকে বোলিংয়ে দারুণ পার্টনারশিপ গড়ে হর্ষিত-রানা। যে পরিকল্পনা গড়ি, মাঠে নেমে সবাই সেটা পালন করে, সে কারণেই ভালো পারফর্ম হচ্ছে। তবে মিডল ওভারে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলতে হবে। এই বিষয়টা ভাবনার।’