রোহিত শর্মা টস জিতে ব্যাটিং নেওয়ায় আশঙ্কা জাগছিল। সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় ঝুঁকি নিচ্ছেন না তো! ভারতীয় দল তো রান তাড়াতেই বেশি স্বচ্ছন্দ। তবে এ ভাবে একপেশে জিতবে ভারত, তাও আবার রান ডিফেন্ড করে, এমনটা হয়তো প্রত্য়াশা ছিল না। ভারতের দেওয়া ৩২৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ৮৩ রানেই অলআউট দক্ষিণ আফ্রিকা। কিং কোহলির সেঞ্চুরি, রবীন্দ্র জাডেজার পাঁচ উইকেট। বিরাট যেমন সচিনের রেকর্ড ছুঁয়েছেন, তেমনই যুবির রেকর্ড ছুঁলেন জাডেজা। ২৪৩ রানের বিশাল জয়ে শীর্ষস্থানও মজবুত করল ভারত। টানা আট ম্যাচে জয়। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
যেন শ্রীলঙ্কার মতোই অবস্থা হল দক্ষিণ আফ্রিকার। এশিয়া কাপ ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে ৫০ রানে অলআউট করেছিল ভারত। গত ম্যাচে একই প্রতিপক্ষকে ৫৫ রানে অলআউট। ভারতীয় বোলিং কতটা বিধ্বংসী মেজাজে রয়েছে, তার আসল পরীক্ষা ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। তাদের মাত্র ৮৩ রানেই গুটিয়ে দিল ভারত। এই বিশ্বকাপে সবচেয়ে বিধ্বংসী ব্যাটিং প্রোটিয়ারাই করছিল। ইডেনে ম্যাচের আগের দিন অনুশীলনে দেখা যায়, শুধুমাত্র স্পিনারদের বিরুদ্ধে নেট প্র্যাক্টিস সারছেন প্রোটিয়া ব্যাটাররা। পেস ত্রয়ী যেমন বিধ্বংসী মেজাজে রয়েছেন তেমনই জাডেজা-কুলদীপকেও অবহেলা করার জায়গা নেই। তাঁদের আশঙ্কাই সত্যি হল। সামি-সিরাজ-বুমরা বিব্রত করলেন, জাডেজাও উইকেট নিলেন।
প্রোটিয়াদের চাপে ফেলতে কখনও শর্ট এক্সট্রা কভার এবং শর্ট মিডউইকেট রেখে বোলিং করলেন, আবার জাডেজার বোলিংয়ে দুই স্লিপও দেখা গেল। মাত্র ৪০ রানে পাঁচ উইকেট তুলে নিয়েছিল ভারত। ক্রিজে মার্কো জানসেন-ডেভিড মিলার জুটি গড়ার চেষ্টায়। মিলার ফর্মে থাকলে হারের ব্যবধান কমাতে পারতেন। কিন্তু জাডেজার বলে এতটাই শাফল করলেন, যে লেগ সাইড দিয়ে উইকেট ছিটকে গেল। জাডেজা টিমের জন্য় কতটা গুরুত্বপূর্ণ ইডেনে রাহুল দ্রাবিড়ও বলেছিলেন। পেসারদের পারফরম্যান্সে ঢাকা পড়ে যায় জাডেজা, কুলদীপের অবদান। ইডেনে ব্যাটে-বলে যা পারফর্ম করলেন, তাতে ঢাকা পড়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই। যুবরাজ সিংয়ের পর ভারতের দ্বিতীয় স্পিনার হিসেবে বিশ্বকাপে পাঁচ উইকেট জাড্ডুর।