টেস্ট সিরিজে ১-০ ব্যবধানে জিতেছে ভারত। ওয়ান ডে সিরিজে এগিয়ে যাওয়ার দারুণ সুযোগ। ভারতের সামনে মাত্র ১১৫ রানের লক্ষ্য। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ওয়ান ডে ফরম্যাটে অভিষেক হল বাংলার পেসার মুকেশ কুমারের। নতুন বলে হার্দিকের সঙ্গে জুটি বাঁধেন। টেস্ট ক্রিকেটে তাঁর প্রথম উইকেট ছিল কার্ক ম্যাকেঞ্জি। ওয়ান ডে-তে প্রথম উইকেট হিসেবে ফেরালেন অ্যালিক আথানেজকে। বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
মুকেশ কুমরারের প্রথম উইকেটের ক্ষেত্রে বড় কৃতিত্ব প্রাপ্য রবীন্দ্র জাডেজার। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে অনবদ্য ক্যাচ জাডেজার। ইনিংসের ৭.৫ এবং নিজের ৩.৫ ওভারে প্রথম ওডিআই উইকেট মুকেশের। অফস্টাম্পের অনেকটা বাইরে কাট করার মতো ডেলিভারি। বোলিংয়ের দিক থেকে বলা যায়, সেরা ডেলিভারি ছিল না। তবে রবীন্দ্র জাডেজার অনবদ্য জাম্পে এই ডেলিভারিতেই ফিরলেন অ্যালিক আথানেজ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক শেই হোপ কিছুটা লড়াই করলেন। যদিও নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকায় ঘুরে দাঁড়াতে ব্যর্থ ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মুকেশ, শার্দূলদের পর অনবদ্য বোলিং রবীন্দ্র জাডেজার। ৬ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন জাডেজা। তাঁর বোলিংয়ে প্রেরণা নিলেন কুলদীপ যাদব। মাত্র ৩ ওভার বোলিংয়ের সুযোগ পেলেন। এর মধ্যে দুটো মেডেন। সব মিলিয়ে ৩ ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট কুলদীপের। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংসে সর্বাধিক রান অধিনায়ক শেই হোপের ৪৩।
ইনিংস বিরতিতে কুলদীপ যাদব বলেন, ‘পেসাররা দুর্দান্ত বোলিং করেছে। মুকেশ, হার্দিক, শার্দূল দারুণ শুরু দিয়েছে। উমরানও ভালো বোলিং করে। পিচ থেকে টার্ন পাচ্ছিলাম। ছন্দ পেতে সময় লাগেনি। জাডেজা উল্টোদিক থেকে দারুণ বল করে। সে কারণেই আরও ভালো বোলিং করতে পেরেছি।’
দু-দিকেই টার্ন করাচ্ছিলেন কুলদীপ। সেই প্রসঙ্গে বলেন, ‘পরিস্থিতি অনুযায়ী বোলিং করি। ওদের এতগুলো উইকেট পড়ে যাওয়াতেই বৈচিত্র আনার চেষ্টা করেছি। জাড্ডু যে ভাবে বোলিং করেছে, সেখান থেকেই আত্মবিশ্বাস পাই।’