অস্ট্রেলিয়া – ৩৩৮, ৩১২/৬ ডি
ভারত – ২৪৪, ৩৩৪/৫
সিডনি : টেস্ট ক্রিকেটের এই এক মাধুর্য। জয় কখনও ছুঁয়ে যায় মন, তার থেকেও বোধহয় বেশি মানুষকে নাড়িয়ে দেয় অবিশ্বাস্য লড়াই। টেস্ট ক্রিকেটের এই এক মাধুর্য, ২২ গজে ব্যাটসম্যানকে দশ জন যখন ঘিরে ধরে, তখন সেই ব্যাটসম্যান পাল্টা ফিরে আসার চেষ্টা করে। এই বিরল দৃশ্যের কোলাজ সিডনি সোমবার আরও একবার দেখল।
অস্ট্রেলিয়ানদের আগুনে বোলিং সামলে দিলেন হনুমা বিহারী আর রবিচন্দ্রন অশ্বিন। চোটও পেলেন হনুমা। অশ্বিনও বেশ কয়েকবার ছোবল খেলেন বলের। তবু ৪০ ওভারেরও বেশি খেলে দিল এই জুটি। নাহলে হয়তো সিডনি ভারতীয় টেস্ট ইতিহাসে এক নতুন মহাকাব্য হয়ে উঠত না।
শেষ দিনে প্রয়োজন ছিল ৩০৯ রান। শুরুতেই রাহানের উইকেট হারায় ভারত। কিন্তু চাপ তৈরি হয়নি, বরং ঋষভ-পূজারার পার্টনারশিপে ভর করে ম্যাচ জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুর করে টিম ইন্ডিয়া। অজি বোলারদের ওপর পাল্টা চাপ তৈরি করে ৯৭ রানের ইনিংস পন্থের। তবে টি-ব্রেকের আগে পন্থ ও পূজারার উইকেট হারিয়ে আবার চাপে পড়ে ভারত।
টিম ইন্ডিয়া কী করবে, ম্যাচ জয়ের জন্য ঝাঁপাবে নাকি ড্র করার চেষ্টা হবে? তখন এটাই ছিল সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। পন্থ ও পূজারার উইকেট পড়তেই ক্রিকেট পণ্ডিতরা ভাবছিলেন ম্যাচ অস্ট্রেলিয়ার দখলে। কিন্তু অন্য কিছু ভাবনা ছিল হনুমা ও অশ্বিনের। অজি বোলারদের একের পর এক আক্রমণ সামলে ম্যাচ বাঁচালেন তাঁরা। দু’জনই খেললেন একশোর বেশি বল। শত চেষ্টা করেও চোট পাওয়া হনুমা ও অশ্বিনকে ২২ গজ থেকে টলাতে পারলেন না স্টার্ক, কামিন্স, লিঁয়রা।
আরও পড়ুন : বিতর্কের সিডনি টেস্টে নয়া বিতর্কে স্টিভ স্মিথ
চার ম্যাচ সিরিজের ফয়সালা হবে ব্রিসবেনে। প্রথম টেস্টে অস্ট্রেলিয়া জিতেছিল ৮ উইকেটে। দ্বিতীয় টেস্ট ভারতের। তৃতীয় টেস্ট ড্র। সিরিজ ১-১। ১৫ তারিখ থেকে শুরু হবে চতুর্থ টেস্ট।