সিডনিঃ অদম্য জেদ।দাঁতে দাঁত চেপে ২২গজে পড়ে থাকা। বিষাক্ত বাউন্সারগুলোও দিকভ্রষ্ট করতে পারছে না। কামিন্স(Pat Cummins)-হ্যাজেলউডদের বিরুদ্ধে ধৈর্য্যের অগ্নিপরীক্ষা। ট্র্যাপিজের সরু তারে দোদুল্যমান পরিস্থিতি। একদিকে জয়ের কঠিন হাতছানি। আর অন্যদিকে হারের কালো হাত। কিন্তু অশ্বিনকে (Ravichandran Ashwin) সঙ্গী করে ৪২ ওভার ৪ বল সামলে সিডনিতে যাবতীয় সমালোচনার জবাব দিলেন হনুমা বিহারি(Hanuma Vihari)।
পৌনে ৩ ঘন্টা ব্যাটিং। ১৬১ বলে ২৩ রান। যদি আপনি স্কোরবোর্ডকে মান্যতা দেন। তাহলে এখানে প্রযোজ্য নেভিল কার্ডাসের সেই অমর উক্তি। ‘স্কোরবোর্ড একটা গাধা’! সিডনির বাইশ গজে খাদের কিনারায় থাকা দলটাকে একটু একটু করে অক্সিজেন দিয়ে যখন ঘামে ভেজা শরীরটা নিয়ে ড্রেসিংরুমে এগোচ্ছেন, তখন তো বীরের মত সম্মান পাচ্ছেন সিডনির(Sydney Cricket Ground) গ্যালারি জুড়ে।একদিকে বর্ণবৈষম্যের তীব্র অভিযোগ। একদিকে করোনা সতর্কতা। আরেকদিকে টিম ফের ডুবছে বিদেশের মাটিতে। এত সবের মাঝে হনুমা-অশ্বিনের অদম্য লড়াই। যার ফল, ৪২ বছরে প্রথমবার টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩১ ওভার ব্যাট করল টিম ইন্ডিয়া।
বিদেশের মাটিতে সৌরভ জমানায় দল বেকায়দায় পড়লেই দুরন্ত ডিফেন্স নিয়ে যিনি অবতীর্ণ হতেন তিনি তো রাহুল দ্রাবিড় (Rahul Dravid)। ভারতীয় ক্রিকেটের ‘দ্য ওয়াল’-য়ের তো আজ আবার ৪৮তম জন্মদিন। আর সৌরভের ভারতের ”দ্য ওয়াল’-এর জন্মদিনে শাস্ত্রীর সংসারে তো উঠে এলেন টেস্ট ক্রিকেটে ভারতের নতুন প্রাচীর। হনুমা বিহারি।
পন্থ-পূজারা যখন ব্যাট করছিলেন, জয়ের একটা সুবাস কিন্তু ঘোরাফেরা করছিল ভারতীয় ড্রেসিংরুমে। কিন্তু ২২ রানের ব্যবধানে পন্থ ও পূজারা আউট হতেই রাহানের স্ট্র্যাটেজি বদলে যায় এক লহমায়। জয় চাই না, ড্র চাই। স্রেফ ড্র। চা বিরতির পর অশ্বিনকে নিয়ে শুরু সিডনি টেস্টে হার বাঁচানোর লড়াই। ষষ্ঠ উইকেটে অশ্বিনকে সঙ্গী করে ২৫৬ বল সামলানো। ষষ্ঠ উইকটে হনুমা-অশ্বিন জুটি তে যোগ করলেন ৬২ রান। ক্রমশ ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা কামিন্স-স্টার্কদের বাউন্সারগুলোকে ডিফেন্স করে পঞ্চম দিনের শেষ সেশনে অজি বোলিংকে বেদম করে দিলেন হনুমারা।