India vs New Zealand: ঘরের মাঠে নতুন ইতিহাস বিরাটদের, জয় দিয়ে দ্রাবিড়-কোহলি যুগের সূচনা

TV9 Bangla Digital | Edited By: সঙ্ঘমিত্রা চক্রবর্ত্তী

Dec 06, 2021 | 11:37 AM

রাহুল দ্রাবিড় ভারতীয় দলের কোচের দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম টেস্ট সিরিজ জিতল ভারত। এবং শুধু জিতলই না ইতিহাস তৈরি করল।

India vs New Zealand: ঘরের মাঠে নতুন ইতিহাস বিরাটদের, জয় দিয়ে দ্রাবিড়-কোহলি যুগের সূচনা
India vs New Zealand: ঘরের মাঠে নতুন ইতিহাস বিরাটদের, জয় দিয়ে দ্রাবিড়-কোহলি যুগের সূচনা

Follow Us

 

ভারত ৩২৫ ও ২৭৬/৭ (ডিক্লেয়ার)
নিউজিল্যান্ড ৬২ ও ১৬৭
৩৭২ রানে জয়ী ভারত

মুম্বই: ভারত-নিউজিল্যান্ড (India vs New Zealand) দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনই ম্যাচটার ও সিরিজটার ভাগ্য একপ্রকার নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল। বিরাট কোহলিদের (Virat Kohli) জয়টা ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা। চতুর্থ দিন ভারতের প্রয়োজন ছিল ৫ উইকেট, নিউজিল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ৪০০ রান। ঘরের মাঠে দাপটের সঙ্গে সিরিজ পকেটে পুরতে খুব বেশি সময় নিল না কোহলির ভারত। চতুর্থ দিন সকালের ৪৫ মিনিটের মধ্যে জয়ন্ত যাদব একাই চারখানা উইকেট তুলে নেন এবং শেষ উইকেটটি পকেটে পুরে নেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। প্রাপ্তি ৩৭২ রানের বড় ব্যবধানে ম্যাচ জয়ের পাশাপাশি সিরিজ জয়। টেস্টের ইতিহাসে ঘরের মাঠে ভারতের এই জয়টাই এখন রেকর্ডের দিক থেকে শীর্ষে। এর আগে ২০১৫ সালে দঃ আফ্রিকাকে দিল্লিতে ভারত ৩৩৭ রানে হারিয়েছিল। এটাই ছিল ঘরের মাঠে ভারতের সব থেকে বেশি রানে জয়ের রেকর্ড। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেটে দ্রাবিড় জমানার শুরু হতেই, বদলে গেল ছবিটা। টেস্ট ক্রিকেটে জয় দিয়ে দ্রাবিড়-কোহলি যুগের সূচনা হল।

কানপুর টেস্ট ড্র হলেও মুম্বই টেস্টের যে একটা ফয়সলা হবে, তা প্রথম দুটো দিনেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। টেস্টের এক নম্বর দল নিউজিল্যান্ডকে হারাল ভারত। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে এই কিউয়িরাই হারিয়েছিল ভারতকে। ঘরের মাঠে বড় ব্যবধানে তাদের হারিয়ে একটা পাল্টা জবাব দিল টিম ইন্ডিয়া। তবে, এই সিরিজে ভারতের প্রাপ্তি বড় জয়, মায়াঙ্কের ১৫০ রানের দুর্ধর্ষ ইনিংস হলেও, কিউয়িদের প্রাপ্তিও রয়েছে। তিনি মুম্বইজাত ক্রিকেটার আজাজ প্যাটেল। আজাজ এক ইনিংসে ১০ উইকেট নিয়ে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন। টেস্ট ক্রিকেটে এক ইনিংসে ১০ উইকেট নেওয়া তৃতীয় বোলার হলেন তিনি। তবে, ঘটনাচক্রে তিনি প্রথম ১০ উইকেট নেওয়া বোলার যিনি দলকে ম্যাচ জেতাতে পারলেন না। এর আগে অনিল কুম্বলে ও জিম লেকাররা নিজেদের দেশে ১০ উইকেট নিয়ে দলকে জিতিয়েছিলেন। তবে আজাজ বিদেশের মাটিতে এমন কীর্তি গড়লেও দলকে জেতাতে পারলেন না।

রাহুল দ্রাবিড় ভারতীয় দলের কোচের দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম টেস্ট সিরিজ জিতল ভারত। এবং শুধু জিতলই না ইতিহাস তৈরি করল। ৩৭২ রানে নিউজিল্যান্ডকে হারাল। দ্রাবিড়ের ভারতের কাছে এখন অনেক বিকল্প রয়েছে। যেমন বোলিং, তেমনই ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রেও প্রচুর বিকল্প রয়েছে। রাহুলের তিনটে ফর্ম্যাটেই ফোকাস হলেও অনেক বারই তাঁর কথা বার্তায় প্রকাশ পেয়েছে টেস্টে তাঁর একটু বাড়তি ফোকাসই থাকে। কারণ টেস্টে তাঁর অবদানের জন্য মানুষ চিরকাল বিশেষ করে দ্রাবিড়কে মনে রাখে। আর সেই দ্রাবিড় এখন ভারতীয় টিমের কাণ্ডারি। তাঁর কোচিংয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজে কিউয়িদের হোয়াইটওয়াশ করার পর ভারত ১-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজও জিতল। কোচ হিসেবে ভারতীয় ক্রিকেটে ছাপ রাখা শুরু করে দিলেন দ্রাবিড়।

তবে এই সিরিজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ফোকাস চলে গেল ভারতের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে। খুব শীঘ্রই প্রোটিয়া সফরের জন্য ভারতের দল নির্বাচন হবে। এই টেস্টের পারফরম্যান্স দল বাছাইয়ে যে বড় ভূমিকা নেবে তা কিন্তু পরিস্কার। বর্তমান পরিস্থিতিতে দুটো বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওপেনিং করে শুভমন গিল দুটো ইনিংসেই সেভাবে রান পাননি। যার ফলে দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে পূজারাকে দিয়ে ওপেন করানো হয়েছিল। সেখানে ৪৭ রান করেছিলেন পূজারা। এ বার পুরো নজরে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে। যদিও এই মুহূর্তে হয়তো মায়াঙ্ক আর শুভমনে ওপেনিংয়ের আস্থা রেখে এগিয়ে যাবে টিম ইন্ডিয়া। তবে পাঁচ নম্বর জায়গায় কী আজিঙ্কা রাহানেতেই ভরসা রাখবে ভারত? তিন নম্বরে কি চেতেশ্বর পূজারাই থাকবেন? পূজারা-রাহানের ব্যাটে দীর্ঘদিন বড় রান নেই। কিউয়িদের বিরুদ্ধে ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৭ রান করেছেন পূজারা। কিন্তু ৪৭ রান করে ভারতীয় দলে নিজের জায়গা পাকা করা যায় না। এই সব বিষয়গুলোই ভাবাচ্ছে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টকে। তবে প্রোটিয়া সফরে ভারতীয় দলে রাহানে-পূজারা হয়তো যাবেন, তাঁদের ম্যাচ উইনিং স্কিল এবং দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতার জন্য। তবে পরবর্তী সফর গুলোতে ভারতীয় দলে থাকতে হলে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে এই দুই ক্রিকেটারকে বড় রান করতেই হবে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর – নিউজিল্যান্ড (১৬৭) আগের দিনের ১৪০/৫ রানের পর (ড্যারেল মিচেল ৬০, হেনরি নিকোলাস ৪৪; রবিচন্দ্রন অশ্বিন ৩৪-৪, জয়ন্ত যাদব ৪৯-৪)

Next Article