ব্রিসবেন: টি২০ বিশ্বকাপের (T20 World Cup 2022) আগে ওয়ার্ম আপ ম্যাচে একদিকে ভারতের জয়, অন্যদিকে পাকিস্তানের হার। না প্রস্তুতি ম্যাচে ভারত-পাকিস্তান লড়াই হয়নি। দুই দল নেমেছিল আলাদা আলাদা প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। ভারতের ওয়ার্ম আপ ম্যাচে প্রতিপক্ষ ছিল আয়োজক দেশ ও গত বারের টি২০ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। সেই ম্যাচে ভারত জিতেছে ৬ রানে। জস বাটলারের ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাকিস্তান ওয়ার্ম আপ ম্যাচে নেমেছিল। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ফিল্ডিংও ডোবাল পাকিস্তানকে। ওয়ার্ম আপ ম্যাচে বাকিদের সুযোগ দেওয়ার জন্য ব্যাট করতে নামেননি বাবর আজম। শাদাব খানের নেতৃত্বে আজ খেলল পাকিস্তান। ৬ উইকেটে হেরেছে পাকিস্তান। এর মধ্যে পিসিবির টুইটারে তুলে ধরা হয়েছে এক ভিডিয়ো। যেখানে এক ফ্রেমে দেখা গিয়েছে পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম (Babar Azam) ও ভারতীয় কিংবদন্তি ক্রিকেটার সুনীল গাভাসকরকে (Sunil Gavaskar)। সেই ভিডিয়োর ক্যাপশনে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে লেখা হয়, “সুনীল গাভাসকরের সঙ্গে বাবর আজমের সাক্ষাৎ।” কী কথোপকথন হল সুনীল-বাবরদের, তুলে ধরল TV9Bangla।
Babar Azam ?? meets Sunil Gavaskar ??
❤️ ? ❤️#T20WorldCup | #WeHaveWeWill pic.twitter.com/aYaB8lu6TJ
— Pakistan Cricket (@TheRealPCB) October 17, 2022
পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজমকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান গাভাসকর। এরপরই বাবরদের ক্লাস নিতে দেখা গেল সানিকে। টি-২০ বিশ্বকাপের আগে সানির এই পরামর্শ নিশ্চিতভাবেই কাজে লাগাবেন বাবর। পিসিবির শেয়ার করা ভিডিয়োতে গ্রিন আর্মির অধিনায়ক বাবর আজমকে ভারতীয় কিংবদন্তি গাভাসকর বলেন, “শট সিলেকশনটা দেখে শুনে করতে হবে। তা হলেই কোনও সমস্যা নেই। পরিস্থিতি অনুযায়ী শট বাছাই করতে হবে।”
Babar Azam, Shadab Khan and M Nawaz with the former Indian captain Sunil Gavaskar.#PAKvENG | #T20WorldCup | #Cricket | #GreenTeam | #OurGameOurPassion | #KhelKaJunoon pic.twitter.com/ZzaybCrIaj
— Green Team (@GreenTeam1992) October 17, 2022
বাবরের হাতে অটোগ্রাফ দেওয়া টুপি তুলে দেন গাভাসকর। শাদাব খান, মহম্মদ নাওয়াজরাও সানির পরামর্শ পেয়েছেন। পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার মহম্মদ ইউসুফ, সাকলিন মুস্তাকদের সঙ্গেও কথা বলেন গাভাসকর। বর্তমানে পাক দলের হেড কোচ হলেন সাকলিন মুস্তাক। গ্রিন আর্মির ব্যাটিং কোচ মহম্মদ ইউসুফ। সানি পাক দলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় ইউসুফকে জিজ্ঞাসা করেন, “টেস্ট ক্রিকেটে এখনও তোমার ওই ১৮০০ রানের রেকর্ড বজায় রয়েছে?” এই প্রশ্নের উত্তরে সম্মতি জানান ইউসুফ। আসলে ২০০৬ সালে ইউসুফের নামের পাশে ছিল এক ক্যালেন্ডার বর্ষে সব চেয়ে বেশি টেস্ট রানের রেকর্ড। সে বার ইউসুফ ১১টি টেস্টে ১৯টি ইনিংসে ১৭৮৮ রান করেছিলেন।