গত দু-ম্যাচে হতাশ করেছিল স্লগ ওভার বোলিং। সেখান থেকে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন ভারতের। সিরিজের তৃতীয় ওয়ান ডে ভিন্ন পিচে। প্রথম দু-ম্যাচের চেয়ে ব্যাটারদের জন্য কিছুটা স্বস্তির পিচ। এর এখানেই ভারতের দুর্দান্ত বোলিং। বিশেষ করে বলতে হয় স্লগ ওভারের কথা। গত দু-ম্যাচেই মাথাব্যথা ছিল স্লগ ওভার বোলিং। ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে মিডল অর্ডার। আপাতত একটা চিন্তা মিটল বলা যায়। ১৭১ রানে ১ উইকেট ছিল শ্রীলঙ্কার স্কোর। সেখান থেকে ২৮০-২৯০ তোলা কঠিন ছিল না। তবে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট নিতে থাকে ভারত। শেষ অবধি ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৪৮ রান তোলে শ্রীলঙ্কা। দায়িত্ব এখন ভারতীয় ব্যাটারদের হাতে।
সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচ ভারতের কাছে। প্রথম ম্যাচ টাই হওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচ জিতেছে শ্রীলঙ্কা। ১-০ এগিয়ে তাঁরা। ১৯৯৭ সালের পর শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ হারেনি ভারত। আজ সেই লজ্জা আটকানোর ম্যাচ। শেষ দু-ওভারে শ্রীলঙ্কা ব্যাটাররা যতটা সম্ভব রান কুড়োনোর চেষ্টা করেন। তাতেই সিরিজের সর্বাধিক স্কোর। প্রথম ম্যাচে ২৩০ রান তুলেছিল শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় ওয়ান ডে-তে ২৪০। তৃতীয় ম্যাচে ভারতের লক্ষ্য ২৪৯।
তৃতীয় ওয়ান ডে-তেও টস জেতে শ্রীলঙ্কা। ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক চরিত আসালঙ্কা। ভারতের একাদশে জোড়া পরিবর্তন। লোকেশ রাহুলের পরিবর্তে বাঁ হাতি কিপার ব্যাটার ঋষভ পন্থ। অর্শদীপের পরিবর্তে স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার রিয়ান পরাগের অভিষেক। নতুন বলে সিরাজের সঙ্গী শিবম দুবে। সিরাজের তুলনায় পাওয়ার প্লে-তে শিবম দুবের মিডিয়াম পেস বেশি কার্যকর হয়। শ্রীলঙ্কা ব্যাটাররা মজবুত শুরুর পর বড় রানের দিকেই এগচ্ছিলেন। তবে ভারতের স্পিনাররা দুর্দান্ত বোলিং করেন।