একদিন আগেও পরিস্থিতি ছিল পুরোপুরি আলাদা। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। শুধু তাই নয়, ঘরোয়া ক্রিকেটেও চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্স। রঞ্জি ট্রফিতে একটি ইনিংসে বিধ্বংসী ব্যাটিং করার কারণে দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটারের সমালোচনার মুখেও পড়েছিলেন। তাঁর খেলার স্টাইলই মারকুটে। যুবরাজ সিংকে যিনি গুরু মানেন, তাঁর স্টাইল তো এমন হওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু অভিষেক ম্যাচে ৪ বলে শূন্য় রানেই আউট। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল, আদৌ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার মতো পরিণত তো অভিষেক শর্মা? কাল ছিল ডাল খালি, আজ ফুলে যায় ভরের মতো, কাল যিনি শূন্যতে ফিরেছিলেন, সেই অভিষেক শর্মাই বিধ্বংসী সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। কী বলছেন এই তরুণ তুর্কি?
প্রথম ম্যাচে মাত্র ১১৬ রান তাড়া করতে নেমে খাবি খেয়েছিল ভারতীয় দল। শুভমন গিল ও ওয়াশিংটন সুন্দর ছাড়া কোনও ব্যাটার ক্রিজে সময় কাটাতে পারেননি। অভিষেক ম্যাচে সমালোচিত হয়েছিলেন অভিষেক শর্মা। দ্বিতীয় ম্যাচেই সেঞ্চুরি। মাত্র ৪৬ বলে তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছন। ইনিংসের অষ্টম ওভারে তাঁর ক্যাচ ফসকেছিল। এরপর ৩০০-র বেশি স্ট্রাইকরেটে ব্যাট করেছেন। সেঞ্চুরির ইনিংসে ম্যাচের সেরার পুরস্কারও জিতে নিয়েছেন অভিষেক।
বলছেন, ‘কালকের হারের পর টিমের এই পারফরম্যান্স খুবই ভালো। সত্যি বলতে হার নিয়ে ভাবার মতো সময়ই ছিল না আমাদের কাছে।’ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং এবং সেঞ্চুরি প্রসঙ্গে অভিষেকের কথায়, ‘আমি মনে করি, টি-টোয়েন্টি মুহূর্তের ব্যাপার। যে কোনও সময়ই খেলার রং বদলে যেতে পারে। মনে হয়েছিল, আজকের দিনটা আমার। কোচ এবং ক্যাপ্টেনকে বিশেষ ধন্যবাদ। আমার উপর ভরসা রেখেছে।’
ক্যাচ মিসের পরই আক্রমণের ধার বাড়ান অভিষেক। বলছেন, ‘ওটার পর আরও বেশি করে মনে হয়েছিল, দিনটা আমার। আরও সুযোগ নেওয়া উচিত। দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করা উচিত। উল্টোদিকে ঋতুর মতো সিনিয়র পার্টনার থাকায় সুবিধা হয়েছে। ও আমাকে লক্ষ্যে স্থির থাকতে সাহায্য করেছে। শট খেলার ক্ষেত্রে সবসময়ই আত্মবিশ্বাস রয়েছে। সেই ছন্দটা পেতে আর ফিরে তাকাইনি। আমার শুধু একটা কথাই মাথায় ছিল, যাই হোক আমি শট খেলে যাব। সেটাই চেষ্টা করেছি।’