ভারতের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। ওপেনার সমস্যায় অস্ট্রেলিয়া। ডেভিড ওয়ার্নারের অবসরের পর স্টিভ স্মিথকে ওপেনিংয়ে দেখা হয়েছে। পরিকল্পনা সফল হয়নি। বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে পছন্দের চার নম্বরেই ব্যাট করবেন স্টিভ স্মিথ। ফলে হন্যে হয়ে ওপেনার খুঁজছে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ড। ডেভিড ওয়ার্নারও অবসর ভেঙে ফিরতে প্রস্তুত। অজি ক্রিকেট বোর্ড অবশ্য অন্য বিকল্প ভাবছে। আর তাদের পছন্দের তালিকায় সবার উপরে ১৯ বছরের তরুণ স্যাম কন্টাস। তাঁকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটেই দ্বন্দ্ব লেগে গিয়েছে। অনেকেই চাইছেন কন্টাসকে খেলানো হোক, আবার প্রাক্তন ক্রিকেটাররা সতর্ক করছেন, কন্টাসকে ফায়ারিং স্কোয়াডের সামনে না ফেলতে।
অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছে গিয়েছে ভারত এ দল। বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির মহড়াও। ভারতীয় দলে যেমন পেস বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে ট্রায়াল দেবেন নীতীশ কুমার রেড্ডি। তেমনই ব্যাক আপ কিপার হিসেবে ঈশান কিষাণেরও মহড়া। ওপেনিংয়ে রোহিতের ব্যাক আপ কে হতে পারেন, সেই দিকে নজর থাকবে ঋতুরাজ গায়কোয়াড়, অভিমন্যু ঈশ্বরণের দিকে। অজি শিবিরে সবচেয়ে বড় চিন্তা ওপেনিং জুটি। উসমান খোয়াজা রয়েছেন। তাঁর ওপেনিং সঙ্গী নিয়েই নানা আলোচনা। ভারত এ দলের বিরুদ্ধে সিরিজে অস্ট্রেলিয়া এ টিমে রয়েছেন নাথান ম্যাকসোয়েনি, ক্যামেরন ব্যাকক্রফ্ট, মার্কাস হ্যারিস এবং স্যাম কন্টাস।
অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ওপেনার ক্রিস রজার্স মনে করেন, মার্কাস হ্যারিসকেই সুযোগ দেওয়া উচিত। ২০১৮-১৯ সিরিজে ভারতের বিরুদ্ধেই টেস্ট অভিষেক হয়েছিল মার্কাস হ্যারিসের। কিন্তু ছাপ ফেলতে পারেননি। বিকল্প রয়েছেন ক্যামেরন ব্যানক্রফ্ট। এই দুইয়ের পাশাপাশি ভাবনায় ম্যাকসোয়েনি এবং স্যাম কন্টাস। ক্রিজ রজার্সের মতে, পাঁচ ম্যাচের সিরিজে সরাসরি ১৯ বছরের স্যামকে নামিয়ে দেওয়া মানে তাঁর কেরিয়ারে বড় ক্ষতি হতে পারে। ব্যর্থ হলে তাঁর কেরিয়ারে বড় প্রভাব পড়বে।
প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে মাত্র ৬টি ম্যাচ খেলেছেন স্যাম। ১০ ইনিংসে করেছেন ৪৫৭ রান। এর মধ্যে দুটি সেঞ্চুরি এবং একটি হাফসেঞ্চুরি। সর্বাধিক ১৫২। সেঞ্চুরি দুটি করেছিলেন এক ম্যাচেই। ক্রিস রজার্স SEN-এ পডকাস্টে বলেছেন, ‘আমি শুধু একটাই প্রশ্ন করতে চাই, ও কি ম্যাচ জেতাতে পারবে? উত্তর যদি হ্যাঁ হয়, কিছু বলার নেই। আর উত্তর যদি না হয়, সেক্ষেত্রে বলব, ভারতের বিরুদ্ধে ওকে না খেলানোই শ্রেয়।’
অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়ার তারকা পেসার জশ হ্যাজলউড অন্য কথা বলছেন। নেটে কন্টাসকে বোলিং করেছেন জশ। তিনি বলছেন, ‘আমার মনে হয় না ও বাচ্চা ছেলে। ওর চেয়েও কম বয়সে অনেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে। সুতরাং, ওকে খেলালে কোনও সমস্যা দেখছি না। বরং ওকে দেখে অন্য তরুণরাও প্রেরণা পাবে।’