মীরপুর : সাকিব আল হাসান এবং তাইজুল ইসলাম। মীরপুরের পিচে রাজত্ব করলেন দুই বাঁ হাতি স্পিনার। তখন একটা প্রশ্নই বারবার ওঠে, ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট কেন কুলদীপ যাদবকে খেলালো না। প্রথম দিনই টার্ন পেয়েছিলেন অশ্বিন, সাকিবরা। পিচ ক্রমশ ভাঙছে। এই পিচে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করতে ভারতকে। ২৫০-র উপর লক্ষ্য থাকলেই কাজটা খুবই কঠিন হতে পারে। ম্যাচের দ্বিতীয় দিন অবশ্য ভারত-বাংলাদেশ কোনও দলকেই এগিয়ে রাখা যাচ্ছে না। প্রথম সেশনে বাংলাদেশের দাপট। মিডল ওভারে শ্রেয়স আইয়ার এবং ঋষভ পন্থের কাউন্টার অ্যাটাক। মীরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিনের বিস্তারিত রিপোর্ট TV9Bangla-য়।
দিনের প্রথম সেশনে ৬৭ রান দিয়ে ভারতের তিন উইকেট নেয় বাংলাদেশ। দলীয় ২৭ রানে ফেরেন অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। বাঁ হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের বলে লেগ বিফোর রাহুল। খারাপ ফর্ম অব্যহত। এই ইনিংসে তাঁর অবদান মাত্র ১০ রান। গত টেস্টে শতরানকারী শুভমন গিল ফিরলেন কিছুক্ষণের মধ্যেই। তিনিও তাইজুলের শিকার। দলীয় ৭২ রানে চেতেশ্বর পূজারাকে ফিরিয়ে চাপ বাড়ান সেই তাইজুল। রান পেলেন না বিরাট কোহলিও। তাসকিন আহমেদের বোলিংয়ে কট বিহাইন্ড বিরাট (২৪)।
মাঝের সেশনে কাউন্টার অ্যাটাক শ্রেয়স আইয়ার এবং ঋষভ পন্থ। মাঝের সেশনে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে ১৪০ রান তোলে ভারত। এই জুটির সৌজন্যেই প্রথম ইনিংসে গুরুত্বপূর্ণ ৮৭ রানের লিড নিতে পারে ভারত। বাঁ হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামকে টার্গেট করেন ঋষভ। দুই বাঁ হাতির লড়াই ছিল নজরকাড়া। মাত্র ১৮২ বলে ১৫৯ রানের জুটি গড়েন শ্রেয়স ও ঋষভ। একটা সময় মনে হয়েছিল ভারতীয় ইনিংসে জোড়া শতরান হতে চলেছে। যদিও সেটা হল না। এই জুটি ভাঙতেই শেষ সেশনে বিপর্যয়। শেষ সেশনে ৬ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৮৮ রান তুলেছে ভারত। প্রথম ইনিংস শেষ ৩১৪ রানে। কেরিয়ারে আরও একটা শতরান থেকে বঞ্চিত হলেন ঋষভ। মাত্র ৪৯ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেছিলেন পন্থ। ১০৪ বলে ৯৩ রানে ফিরলেন। কেরিয়ারে এই নিয়ে ষষ্ঠবার ৯০-র ঘরে আউট ঋষভ। শ্রেয়স আইয়ারও ৮০-র উপর স্ট্রাইকরেটে ব্যাট করছিলেন। ৮৭ রানে আউট হন শ্রেয়স। বাংলাদেশের দুই বাঁ হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম ও অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ৪টি করে উইকেট নেন।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের স্কোর বিনা উইকেটে ৭। এখনও তারা পিছিয়ে ৮০ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে তারা ৩০০’র অধিক স্কোর গড়তে পারলে, এই ম্যাচ রুদ্ধশ্বাস হয়ে উঠবে।