ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ নতুন সংস্করণের শুরু থেকে প্রোমোতে একটা দৃশ্য থাকবেই। রিঙ্কু সিংয়ের ব্যাটিং তাণ্ডব। সঙ্গে পাঁচ ছক্কার গ্লানি থাকা এক বাঁ হাতি পেসার। আইপিএলের ইতিহাসের অন্যতম সেরা মুহূর্ত যেমন সেটা, তেমনই একদিক থেকে হতাশারও। ওই একটা ম্যাচ রিঙ্কু সিংয়ের উত্থান দেখেছে, টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে সেই হতভাগ্য পেসারেরও। এ বার টেস্ট স্কোয়াডে সুযোগ পেলেন সেই বাঁ হাতি পেসার। মাঝে সামলাতে হয়েছে অনেক অনেক ঝড়।
কলকাতা নাইট রাইডার্সের অন্যতম ভরসা হয়ে উঠেছেন রিঙ্কু সিং। তাঁর উত্থানের মঞ্চ ছিল ২০২৩ সালে গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচ। তার আগে কেকেআরে নিয়মিত সুযোগ হত না রিঙ্কুর। টাইটান্সের বিরুদ্ধে বিশাল স্কোর তাড়া করতে নেমেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। শেষ ওভারে ২৯ রান প্রয়োজন ছিল নাইটদের। রিঙ্কুর সঙ্গে ব্যাটিংয়ে ছিলেন উমেশ যাদব। শেষ ওভারে বোলিংয়ে আসেন যশ দয়াল। প্রথম বলেই সিঙ্গল নিয়ে রিঙ্কুকে স্ট্রাইক দেন উমেশ। এরপর ইতিহাস। শেষ পাঁচ ডেলিভারির পাঁচটিই গ্যালারিতে ওড়ান রিঙ্কু সিং।
গত বারের আইপিএলে যশ দয়ালকে রিটেন করেনি গুজরাট টাইটান্স। এমনকি মিনি অকশনেও তাঁর দিকে কার্যত কেউ মনসংযোগই করেনি। অকশনে চমক দেয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। যশ দয়ালকে নেয় আরসিবি। এই সিদ্ধান্তে নানা প্রশ্নের মুখে পড়েছিল আরসিবি টিম ম্যানেজমেন্ট। পাঁচ ছক্কার হতাশা থেকে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন করেন যশ। গত আইপিএলে ভালো পারফর্ম করেছেন। দলীপ ট্রফির প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে বাঁ হাতি পেসারদের মধ্যে মূলত নজর ছিল অর্শদীপ সিংয়ের দিকে। মনে করা হয়েছিল তাঁকে টেস্ট স্কোয়াডে ডাকা হতে পারে।
দলীপে ভারত সি-টিমে রয়েছেন অর্শদীপ। অনন্তপুর ক্রিকেট স্টেডিয়াম, যেটাকে ভারতের ‘পার্থ’ বলা হচ্ছে, সেখানে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত সি ও ডি দল। গ্রিনটপে অর্শদীপ সিংয়ের ঝুলিতে মাত্র ২ উইকেট। বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে দাপট দেখান যশ দয়াল। প্রথম ইনিংসে মাত্র ১ উইকেট নিয়েছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে, চাপের মুখে ৩ উইকেট নেন যশ। তার পুরস্কার এত তাড়াতাড়ি মিলবে তা হয়তো প্রত্যাশা করেননি। প্রথম বার জাতীয় দলে ডাক পেলেন, তাও আবার টেস্ট স্কোয়াডে। আরসিবি, চিন্নাস্বামীই যেন টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়াল যশ দয়ালের।
প্রথম টেস্টের জন্য ঘোষিত দল- রোহিত শর্মা, যশস্বী জয়সওয়াল, শুভমন গিল, বিরাট কোহলি, লোকেশ রাহুল, সরফরাজ খান, ঋষভ পন্থ, ধ্রুব জুরেল, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রবীন্দ্র জাডেজা, কুলদীপ যাদব, মহম্মদ সিরাজ, আকাশ দীপ, জসপ্রীত বুমরা, যশ দয়াল