ব্যাটিংয়ে একঝাঁক তারকা নেই। বোলিংয়ে বিশ্রামে জসপ্রীত বুমরা। আজ শুরু ভারত-ইংল্যান্ড চতুর্থ টেস্ট। প্রথম তিন ম্যাচেই স্পোর্টিং পিচ ছিল। স্পিনার, পেসারদের জন্য কিছু না কিছু সুবিধা ছিল। তেমনই একঝাঁক সেঞ্চুরিও হয়েছে প্রথম তিন টেস্টে। যশস্বী জয়সওয়াল পরপর ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন। ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে সেঞ্চুরি রয়েছে রোহিত শর্মা, রবীন্দ্র জাডেজা, শুভমন গিলেরও। বিরাট কোহলির মতো তারকা ব্যাটার সিরিজের প্রথম থেকেই নেই। মাঝপথে ছিটকে গিয়েছেন লোকেশ রাহুল, শ্রেয়স আইয়ারও। তারপরও ভারতীয় দলের অনবদ্য পারফরম্যান্স। তরুণ ব্রিগেড চোখ ধাঁধানো পারফর্ম করছে। সেই ধারাবাহিকতা কতটা থাকে, সেদিকেই নজর। বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
লোকেশ রাহুল না থাকায় সম্ভবত আরও একটা লাইফলাইন রজত পাতিদারের। এই সিরিজেই অভিষেক হয়েছে। গত ম্যাচে দুই ইনিংসেই চূড়ান্ত ব্যর্থ। রাঁচিতে ভারতের ব্যাটিং লাইন আপে পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তবে নজর থাকবে সরফরাজ খানের ওপর। রাজকোট টেস্টে অভিষেক হয় সরফরাজের। দেখে মনে হয়নি অভিষেক ম্যাচ। প্রথম ইনিংসে অনবদ্য ব্যাটিং করছিলেন। জাডেজার সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট। হয়তো অভিষেকেই তাঁর ব্যাটে সেঞ্চুরি দেখা যেত। দু-ইনিংসেই হাফসেঞ্চুরি করেন সরফরাজ। দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত। গত ম্যাচে আর এক জনের অভিষেক হয়। কিপার ব্যাটার ধ্রুব জুরেল। তিনিও ফুল মার্কস পেয়েছেন।
ভারতের বোলিং কম্বিনেশন কী হবে, তা অবশ্য ধোঁয়াশার। প্রথম তিন ম্যাচে স্পোর্টিং পিচ হয়েছে। রাঁচিতে স্পিনারদের জন্য বাড়তি সুবিধা থাকবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। জসপ্রীত বুমরা না থাকায় পেস বোলিংকে নেতৃত্ব দেবেন মহম্মদ সিরাজ। কিন্তু তাঁর বোলিং পার্টনার কে হবেন, তা নিশ্চিত নয়। বিকল্প রয়েছেন বাংলার দুই পেসার মুকেশ কুমার এবং আকাশ দীপ। মুকেশকে বিশাখাপত্তনমে খেলানো হয়েছিল। খুব বেশি পার্থক্য গড়তে পারেননি। রাঁচিতে অভিষেকের সম্ভাবনা প্রবল আকাশ দীপের। এর অন্যতম কারণ, তাঁর গতি। মুকেশের তুলনায় বেশি গতিতে বল করতে পারেন আকাশ দীপ।
ইংল্যান্ড শিবির একদিন আগেই একাদশ জানিয়েছে। মার্ক উড ও রেহান আহমেদের পরিবর্তে একাদশে বশির এবং ওলি রবিনসন। দ্বিতীয় জনকে পেস বোলিং অলরাউন্ডারও বলা যায়। রবিনসনের ব্যাটের হাত খুবই ভালো। সম্ভবত সেই কারণেই খেলানোর সিদ্ধান্ত। বোলিংয়ের পাশাপাশি তাঁর ব্যাটিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে।