ভারতের ইনিংস শেষ। দক্ষিণ আফ্রিকার রান তাড়াও শুরু। এর মাঝেই নজরে পড়ল উড়ছে অনেক অনেক পোকা। বায়োলজিক্যাল নাম জানা নেই। প্রোটিয়ারা ডাকছেন ফ্লাইং অ্যান্টস। উড়ন্ত পিঁপড়ে! হ্যাঁ, এমনটাই। অর্শদীপ সিং ভারতের হয়ে বোলিং ওপেন করেন। শুরু থেকেই এই পোকার জন্য সমস্যায় পড়ছিলেন ব্যাটাররা। শুধু তাঁরাই নন, যে হারে সংখ্যা বাড়ছিল, তাতে ফিল্ডিংয়ে থাকা এবং গ্যালারিতে যে কারও চোখেই সমস্যা হতে পারে। যে কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংসের প্রথম ওভারের পরই খেলা থামাতে হয় দীর্ঘ সময়ের জন্য।
অর্শদীপ সিংয়ের ওভার সবে শেষ হয়েছে। সাউন্ড বক্সে অ্যানাউন্স করা হল, উল্টো প্রান্ত থেকে বোলিংয়ে আসছেন হার্দিক পান্ডিয়া। এরই মাঝে প্লেয়ারদের সঙ্গে কথা বলেন অন ফিল্ড আম্পায়ার। সকলেই সিদ্ধান্ত নেন এই পরিস্থিতিতে খেলা চালিয়ে যাওয়া উচিত হবে না। দু-দলই মাঠ ছাড়ে। মাঠকর্মীরা ভ্যাকুম ব্যবহার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করতে থাকেন। পিচেও অনেক পোকা পড়ে থাকতে দেখা যায়।
বাংলায় একটি প্রবাদ অনেক সময়ই ব্যবহার হয়ে থাকে, পিপীলিকার পাখা হয় মরিবার তরে! যদিও এখানে পরিস্থিতি আলাদা। দক্ষিণ আফ্রিকার সাংবাদিকদের মতে, সাধারণত কোথাও ভারী বৃষ্টি হলে এই পোকাদের বা বলা ভালো উড়ন্ত পিঁপড়েদের দেখা যায়। ওরা নতুন জায়গায় বাসা বাঁধার খোঁজে থাকে। সেঞ্চুরিয়নে বৃষ্টি না হলেও কাছাকাছি কোথাও হয়েছে বলেই ধারনা। সে কারণেই সেঞ্চুরিয়ন স্টেডিয়ামের আলোতে চোখে পড়ছে বেশি।
First time I’ve seen play stopped because of flying ants #INDvSA #Cricket pic.twitter.com/XFFN2KgVwm
— The Drunken Copywriter (@G_S_Meredith) November 13, 2024
দক্ষিণ আফ্রিকার এক সাংবাদিক জানান, বৃষ্টির পরই এই ফ্লাইং অ্যান্টসদের দেখা যায়। তারা সঙ্গী খোঁজে, নতুন করে পরিবার তৈরি, বাসা বাঁধার জায়গা খোঁজে। এই পর্বকে বলা হয় নুপিটাল ফ্লাইট। বৃষ্টি হওয়ার ৩-৫ দিনের মধ্যে এদের বেশি দেখা যায়। গরমের সময় এই পরিস্থিতি খুব একটা দেখা যায় না।