আন্তর্জাতিক ক্রিকেট প্রচণ্ড নিষ্ঠুর। এটা যেন খুব ভালো ভাবে অনুভব করতে পারছেন সঞ্জু স্যামসন। শ্রীলঙ্কায় জোড়া শূন্যর পর টি-টোয়েন্টি টিমে জায়গা ধরে রাখা নিয়ে আশঙ্কায় ছিলেন সঞ্জু স্যামসন। তবে ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে স্কোয়াডে জায়গা ধরে রাখেন সঞ্জু। প্রথম দু-ম্যাচে সেই অর্থে বড় স্কোর গড়তে পারেননি। তবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচে অবিশ্বাস্য সেঞ্চুরি করেছিলেন। সেটিই ছিল আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তাঁর প্রথম সেঞ্চুরি। একই ফর্ম জারি রেখেছিলেন ডারবানেও। টানা দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরিতে রেকর্ড গড়েছিলেন। কিন্তু বেরহা এবং সেঞ্চুরিয়ন। জোড়া সেঞ্চুরির পর জোড়া ডাক!
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরির পর স্বস্তি ফিরে পেয়েছিলেন সঞ্জু স্যামসন। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে প্রথম ম্যাচেই সেঞ্চুরি। তাঁর কেরিয়ারের সঙ্গে রোহিত শর্মার মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল। তিন ফরম্যাটেই রোহিত শর্মা বিশ্বের অন্যতম সেরা ওপেনার। সাদা-বলের ক্রিকেটে আরও বেশি করে বলা যায়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বহু আগেই অভিষেক হলেও রোহিতের কেরিয়ারে টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়িয়েছিল ২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। মিডল অর্ডার থেকে ওপেনার বানানো হয়। রোহিত বিশ্বের অন্যতম সেরা হয়ে ওঠেন।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেই এই ফরম্যাটে দেশের জার্সিকে বিদায় জানিয়েছেন রোহিত শর্মা। তাঁর জায়গায় নিজেকে টি-টোয়েন্টিতে প্রতিষ্ঠিত করছেন সঞ্জু। তিনিও মিডল অর্ডারেই খেলতেন। ঋষভ পন্থ ফেরার পর টি-টোয়েন্টিতেও তাঁর জায়গা নিশ্চিত ছিল না। তবে ঋষভ টেস্টে থাকায় এবং ওপেনিংয়ে সাফল্য পাওয়ায় সঞ্জুকে নিয়ে প্রত্যাশা বাড়ছিল। পরপর সেঞ্চুরিতে নিজের জায়গা মজবুত করছিলেন।
বেরহায় দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ইনিংসের তৃতীয় ডেলিভারি। মার্কো জানসেনের বোলিংয়ে সরে গিয়ে কভারের উপর দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন সঞ্জু। কিন্তু পুরোপুরি লাইন মিস করে বোল্ড। তিন বলে শূন্য। সেঞ্চুরিয়নে ইনিংসের দ্বিতীয় ডেলিভারি। এ বারও মার্কো জানসেন। বল কিছুটা নিচু হওয়ায় বিট হন। ২ বলে শূন্য। পরপর দু-ম্যাচে শূন্যতে চাপ বাড়ছে সঞ্জুর।