এশিয়া কাপ ফাইনালে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ। অষ্টম ট্রফির লক্ষ্যে নেমেছিল ভারত। অন্য দিকে, বদলা নিয়ে প্রথম ট্রফির লক্ষ্যে নেমেছিল শ্রীলঙ্কা। ফাইনালে টস জেতেন ভারত অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর। ব্যাটিং নেন তিনি। ফাইনালের মঞ্চে বড় রানের টার্গেট দেওয়ায় নজর ছিল। ভারতীয় বোলাররা ধারাবাহিক ভালো পারফর্ম করে আসছেন। তাঁদের জন্য ফাইনালের মঞ্চে ১৬৫ রানের বড় স্কোর গড়েন ব্যাটাররা। ফাইনালে দুর্দান্ত স্মৃতি মান্ধানা। সেমিফাইনালে হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন। এ দিন ৩৬ বলে হাফসেঞ্চুরিতে পৌঁছন স্মৃতি মান্ধানা। ৪৭ বলে ৬০ রানে ফেরেন তিনি। শেষ দিকে রিচা ঘোষ এবং জেমাইমা রডরিগজের বিধ্বংসী ব্যাটিং। রিচা মাত্র ১৪ বলে ৩০ রান করেন। জেমাইমা করেন ১৬ বলে ২৯। শ্রীলঙ্কাকে ১৬৬ রানের বড় টার্গেট দেয় ভারত। কিন্তু চামারি-হর্ষিতার দুরন্ত ব্যাটিং, ভারতের হতাশাজনক ফিল্ডিংয়ে অষ্টম ট্রফি হাতছাড়া।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কার সর্বাদিক ১৫৬ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড ছিল। কিন্তু এ দিন শ্রীলঙ্কার ব্যাটাররা সেই রেকর্ড ছাপিয়ে যাওয়ার মুডেই ছিল। চামারি আতাপাত্তুর সঙ্গে দুর্দান্ত জুটি হর্ষিতা সমরবিক্রমের। দশম ওভারে রেনুকা সিংকে আনা হয়। পূজা বস্ত্রকার ব্যালান্স রাখতে পারলে ব্রেক থ্রু আসতে পারত। তবে গুরুত্বপূর্ণ রান বাঁচান। ৩৩ বলে বাউন্ডারি মেরে হাফসেঞ্চুরি চামারি আতাপাত্তুর। সেমিফাইনালেও হাফসেঞ্চুরি করেছিল। এ বার ফাইনালের মঞ্চেও। প্রথম দশ ওভারের মধ্যেই ১ উইকেটে ৮০ রান তুলে নেয় শ্রীলঙ্কা।
ভারতীয় স্পিনারদের অস্বস্তিতে ফেলেন হর্ষিতা। রিভার্স সুইপে বিব্রত করেন রাধা যাদব, দীপ্তি শর্মাকে। অবশেষে দ্বাদশ ওভারে দীপ্তি শর্মার সৌজন্যে বড় ব্রেক থ্রু। চামারি আতাপাত্তুকে বোল্ড করেন তিনি। শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক ৪৩ বলে ৬১ রানে ফেরেন। ভারতও ম্যাচে ফেরে। তখন ৪৮ বলে ৭২ রান প্রয়োজন শ্রীলঙ্কার। হর্ষিতা ক্রিজে থাকায় ভারতের চাপ বাড়ছিলই। ক্যাপ্টেন হরমনপ্রীত কৌর ক্যাচ ফসকান। ফিল্ডিংয়ে প্রচুর মিস। বোলারদের মনোবল আরও ভেঙে যায়।
শেষ তিন ওভারে মাত্র ২৫ রান প্রয়োজন ছিল শ্রীলঙ্কার। ভারতের হাত থেকে ক্রমশ ট্রফি বেরিয়ে যাচ্ছিল। ১৮তম ওভারের প্রথম দু-বলেই ১০ রান। শ্রীলঙ্কা শিবিরে উচ্ছ্বাস। অঙ্ক দাঁড়ায় শেষ ২ ওভারে ৮ রান। হর্ষিতা যে ভাবে ব্যাট করছিলেন, এখান থেকে ভারতের আশা ছিল না বললেই চলে। ১৯তম ওভারে আক্রমণে আসেন পূজা বস্ত্রকার। ৮ বল বাকি থাকতেই ৮ উইকেটে জয় শ্রীলঙ্কার। বদলা নিয়ে চ্যাম্পিয়ন চামারিদের। হর্ষিতা ৫১ বলে ৬৯ রানে অপরাজিত থাকেন। কবিশা দিলহারি ১৬ বলে ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন। এর আগে পাঁচ বার ফাইনালে উঠলেও এশিয়া কাপে রানার্স হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল শ্রীলঙ্কাকে।