পিচ থেকে পেসারদের জন্য বিশাল কিছু সুবিধা ছিল, তা নয়। স্পিনারদের ক্ষেত্রেও বলা যায়, মাঝে মাঝে টার্ন। তবে গতির ক্ষেত্রে পিচে সমস্যা রয়েছে। কিছু ডেলিভারি আটকে আসছে। সেটাকেই কাজে লাগালেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং রবীন্দ্র জাডেজা। টস জিতে ব্যাটিং নিলেও ধৈর্য দেখাতে ব্যর্থ ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বড় শটে স্কোর বোর্ড সচল রাখার চেষ্টা। অভিজ্ঞ রবিচন্দ্রন অশ্বিন কিংবা জাডেজার বিরুদ্ধে তা সম্ভব ছিল না। ওয়েস্ট ইন্ডিজ শিবিরে অভিষেক ম্যাচে নজর কাড়লেন অ্যালিক আথানেজ। অল্পের জন্য হাফসেঞ্চুরি হাতছাড়া হয় তাঁর। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংস গুটিয়ে যায় মাত্র ১৫০ রানেই। বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
অভিষেক ম্যাচ। ডমিনিকার উইন্ডসোর পার্ক প্রকৃত অর্থেই ঘরের মাঠে অ্যালিক আথানেজের। তিনি ক্রিজে নামতেই গ্যালারিতে বিশাল চিৎকার। টেস্ট কেরিয়ারের প্রথম ডেলিভারিতেই রানের খাতা খোলেন অ্যালিক। অর্ধশতরানের অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু অশ্বিনের অভিজ্ঞতার কাছে হার মানলেন। শর্ট পিচ দিলেও বাউন্স বেশি ছিল। অশ্বিনের বিরুদ্ধে পুল শটে মিড উইকেট ফিল্ডারের ওপর দিয়ে মারতে চেয়েছিলেন অ্যালিক। যদিও শার্দূলের ক্যাচে হাফসেঞ্চুরির স্বপ্ন ভঙ্গ হয় তাঁর। ৪৭ রানে দলের অষ্টম উইকেট হিসেবে ফেরেন। অশ্বিনের পাঁচ উইকেট এবং জাডেজার তিন। ১৫০ রানেই অলআউট ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
বাবা-ছেলের উইকেট নেওয়ার নজির প্রথম সেশনেই গড়েছিলেন। টেস্ট ক্রিকেটে আরও একটা ইনিংসে পাঁচ উইকেট। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সব ফরম্যাট মিলিয়ে ৭০০ উইকেটের মাইলকফলক পেরিয়ে গেলেন অশ্বিন। সময়ের সঙ্গে টার্নও বাড়ছে। দ্বিতীয় ইনিংসে অশ্বিন আরও বড় ভূমিকা নিতে পারেন, নিশ্চিত। ভারতীয় শিবিরে কিছুটা অস্বস্তি গড়েছিল আথানেজ ও জেসন হোল্ডার জুটি। মহম্মদ সিরাজ শর্টপিচের ফাঁদে ফেলেন হোল্ডারকে। স্কোয়ার লেগে শার্দূল প্রস্তুত ছিলেন। তাঁর হাতে ক্যাচ দিয়েই ফেরেন হোল্ডার। এই জুটি ক্রিজে থাকলে হয়তো ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর আরও একটু বাড়তে বাড়ত।