প্রথম টেস্টে ইনিংস এবং ১৪১ রানের বিশাল ব্যবধানে হার। দ্বিতীয় টেস্টে ইতিমধ্যেই ১০৮ ওভার ব্যাট করে ফেলল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মহম্মদ সিরাজ, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রবীন্দ্র জাডেজা, মুকেশ কুমাররা অনবদ্য বোলিং করলেন। চোখ ধাঁধানো ক্যাচ অজিঙ্ক রাহানের। কিন্তু এই ইনিংসে এখনও অবধি ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটিং দেখিয়ে দিয়েছে, তারা প্রতিরোধ গড়তে জানে। ভারতের জন্য ধৈর্য পরীক্ষা হলেও, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের জন্য বিরাট প্রাপ্তি। ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ শততম টেস্টের তৃতীয় দিনের বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
কুইন্স পার্ক ওভালে ভারতীয় বোলারদের জন্য কাজ কঠিন করলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক ক্রেগ ব্রেথওয়েট। ভারতের ৪৩৮ রানের জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৫ উইকেটে ২২৯ রান তুলেছে। গতি খুবই কম। কিন্তু ভারতের অস্বস্তি বাড়ানোর জন্য তা যথেষ্ঠ। প্রথম সেশনে ভারতকে দিনের প্রথম সাফল্য দেন অভিষেককারী মুকেশ কুমার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে এই ম্যাচে অভিষেক করা কার্ক ম্যাকেঞ্জিকে ফেরান। তবে ভারতীয় বোলিংকে চাপে ফেলেন ব্রেথওয়েট। অশ্বিনের অনবদ্য ডেলিভারিতে তাঁর ডিফেন্স ভাঙে। ২৩৫ বলে ৭৫ রানে ফেরেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের আর এক নির্ভরযোগ্য ব্যাটার জেরমাইন ব্ল্যাকউড সলিড ডিফেন্সে চাপ বাড়ান। অবশেষে তাঁকে ফেরান রবীন্দ্র জাডেজা। এর জন্য কৃতিত্ব প্রাপ্য অজিঙ্ক রাহানের। স্লিপে চোখ ধাঁধানো ক্যাচ নেন রাহানে। ৯২ বলে ২০ রান ব্ল্যাকউডের। কিপার ব্যাটার জোসুয়া ডিসিলভাকে বোল্ড করেন মহম্মদ সিরাজ। একশো ওভারের পর দ্বিতীয় নতুন বল নেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। নতুন বলে ভরসা দেন মুকেশ। দুটি লেগ বিফোরের আবেদন। যদিও আম্পায়ার দেননি, ভারত রিভিউ নেয়নি। নিলেও লাভ হত না। ডিআরএস নিলে দুটিই আম্পায়ার্স কল হত।
দিনের শেষে ভারতীয় শিবিরের অস্বস্তি বাড়াল কেরিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামা অ্যালিক আথানেজ ও অভিজ্ঞ জেসন হোল্ডার জুটি। আথানেজ ইতিমধ্যেই ১১১টি ডেলিভারি সামলে দিয়েছেন। ৩৭ রানে ক্রিজে রয়েছেন তিনি। সঙ্গে জেসন হোল্ডার ৩৯ বলে ১১ রানে ক্রিজে। তৃতীয় দিন সমস্যা তৈরি করে বৃষ্টিও। বাকি দু-দিনও যদি বৃষ্টি তাড়া করে এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ এরকম ধৈর্য দেখায়, ঐতিহাসিক টেস্ট হয়তো ড্রয়ের দিকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এখনও পিছিয়ে ২০৯ রানে। তাদের ভরসা এখন সেই ব্লকাথন।