ডাম্বুলা: ঘরের মাঠে ভারতকে টি ২০ তে হারাতে না পারার রেকর্ড বাড়ল। ভারতের বিরুদ্ধে শেষবার টি ২০ তে শ্রীলঙ্কা জিতেছিল ২০১৪ সালে। ১৯ বারের মুখোমুখি সাক্ষাতে সেটি ছিল তৃতীয় জয়। শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka) সফরে প্রথম টি ২০ জিতল ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল (India Women)। তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ এগিয়ে গেল তারা। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৩৪ রানের বড় ব্যবধানে হারালো ভারত। যদিও টপ অর্ডারের হতাশা কাটল না। টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারত অধিনায়ক হরমনপ্রীত কউর। চতুর্থ ওভারেই জোড়া ধাক্কা। ৬ বলে মাত্র ১ রানে ফেরেন সহ অধিনায়ক স্মৃতি মন্ধানা। পরের বলেই আউট তিনে নামা সাব্বিনেনি মেঘনা। ওপেনার শেফালি বর্মা এবং অধিনায়ক হরমনপ্রীত পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দেন। পরপর ওভারে ফেরেন শেফালি (৩১), হরমনপ্রীত (২২)। ভারতীয় ইনিংসে ভরসা দেন ওডিআই বিশ্বকাপে ব্রাত্য জেমিমা রডরিগজ (Jemimah Rodrigues)। তাঁকে কেন পাঁচ নম্বরে নামানো হল, তা অবশ্য প্রশ্নই। ২৭ বলে অপরাজিত ৩৬ রানের ইনিংসে ম্যাচের সেরা হন জেমিমা। ১৭ ওভারে ভারতের স্কোর ছিল ১০৬-৬। সেখান থেকে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৩৮ রান করে ভারত। শেষ দিকে দীপ্তি শর্মার ৮ বলে ১৭ রানের ক্যামিও ভারতকে ভালো জায়গায় পৌঁছে দেয়।
মেয়েদের টি ২০-র নিরিখেও যথেষ্ট কম রান। তবে এই রান নিয়েই ভারতকে জেতালেন স্পিনাররা। দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট নেন অফস্পিনার দীপ্তি শর্মা। কবিশা দিলহারির অনবদ্য ব্যাটিং সত্ত্বেও ভারতের জয়। কবিশা ৪৯ বলে ৪৭ রান করেন। ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১০৪ রানেই ইনিংস সমাপ্তি শ্রীলঙ্কার। দীপ্তি শর্মা ৪ ওভারে ১টি মেডেন সহ মাত্র ৯ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন। বাঁ হাতি স্পিনার রাধা যাদব ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। সম্প্রতি মেয়েদের আইপিএলে বোলিং করতে দেখা গিয়েছিল শেফালি বর্মাকে। স্পিন বোলার শেফালি ২ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১০ রানে ১ উইকেট নেন। আরেক বাঁ হাতি স্পিনার রাজেশ্বরী গায়কোয়াড় উইকেট না পেলেও ১ ওভারে মাত্র ৭ রান দেন।
ম্যাচের শেষে জেমিমাকে জিজ্ঞাসা কর হয়, তাঁকে কোন ভূমিকা দেওয়া হয়েছে। জেমিমা বলেন, ‘টিম ম্যানেজমেন্টের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, নীচের দিক ব্যাট করতে হতে পারে। পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলার পরিকল্পনা হয়। আমার আগে থেকেই ধারণা ছিল।’ দীর্ঘ সময় পর দেশের জার্সিতে নেমেই ম্যাচের সেরা। উচ্ছ্বসিত জেমিমা বলছেন, ‘সম্ভবত ৪-৫ পাঁচ মাস, কিংবা তারও পরে জাতীয় দলে ফিরলাম। জাতীয় দলের জার্সিতে সকলেই আত্মবিশ্বাসী থাকে। আমিও চাইছিলাম যে কোনওভাবে দলে অবদান রাখতে। ম্যাচের সের হতে হবে, সে সব ভাবনায় ছিল না। এতদিন পর নেমেছি, শুরুতে কিছুটা নার্ভাস ছিলাম। একটা বাউন্ডারি মারার পরই স্বাভাবিক হয়ে যাই।’